নেত্রকোনা থেকে জাহিদ হাসান :
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া নিয়োগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রাবিয়া আক্তার গত সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপ পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগকারী আজ বুধবার নেত্রকোনা জেলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
এর আগে নেত্রকোনা জেলা শিক্ষা অফিসার, কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগ কমিটি (পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়) বারাবরে রাবিয়া আক্তার পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, জেলার কলমাকান্দার পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য একজন নিরাপত্তা কর্মী ও একজন আয়া নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে অভিযোগকারী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অনেক সদস্য এমনকি বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরাও বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান ও প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল লতিফ মিলে আয়া পদে উপজেলার পাবই গ্রামের জনৈক আঁখি আক্তারের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। পরে এ নিয়োগ সম্পর্কে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য, ছাত্র অভিভাবকদের মধ্যে চরম বিশৃংখলা দেখা দেয়। এতে করে গত ৮ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে ফের আগামী ২২ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন। নিয়োগ পরীক্ষ স্থগিতের জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রাবিয়া আক্তার রোববার জেলা শিক্ষা অফিসার, কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগ কমিটি (পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়) বারাবরে পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পূনঃরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বচ্ছতার মাধ্যমে দুইপদে কর্মচারী নিয়োগের দাবি জানান অভিযোগকারী। তিনি আরও উল্লেখ করেন নির্ধরিত তারিখ আগামী ২২ ডিসেম্বর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবে।
পাবলিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল লতিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেন নি।
পাবলিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান তোতা মিয়া বলেন, অভিযোগ এবং নিয়োগে ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। গ্যু মিথ্যা আপনারা যাছাই বাছাই করে দেখুন।
নেত্রকোনা জেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল গফুর বলেন, কর্মচারী নিয়োগে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত রাখার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।