আলমগীর হোসেন , মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) :
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী। তিনি ২৪ হাজার ৮৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৮৯২ ভোট পেয়েছেন। এর আগেও আবু বকর সিদ্দিকী আরো দু’বারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন । এবারে তিনি হেডট্রিক করেছেন।
এছাড়াও ওমর ফারুক শাওন ১৬ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান এবং মিসেস হাচিনা বেগম ২৭ হাজার ৬৯৫ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল রোববার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। রোববার রাতে ফলাফল নিশ্চিত করেন সহকারী রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তরিকুল ইসলাম ।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, আমার শক্তি সাধারণ ভোটার। আমি দীর্ঘ ১৫ বছর তাঁদের পাশে ছিলাম। ভবিষ্যতেও পাশে থাকব। জনগণ আমাকে বিশ্বাস করে আবার নির্বাচিত করেছেন। আমি তাঁদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখব ইনশা আল্লাহ।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মে তৃতীয় ধাপে মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৯ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ উপজেলায় ৬ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ১২ হাজার ৩৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৬ হাজার ৯৬৮ এবং মহিলা ভোটার ৫৫ হাজার ৭১ জন। মোট ভোটার ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৫। এর মধ্যে ৫২ হাজার ৪৬৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট প্রদানের হার ৪৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ৪৩টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে ঋণখেলাপির অভিযোগে আইনজীবী মো. আবদুস ছালাম খানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। বাকি তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁরা হলেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম (জুয়েল) ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি (বহিষ্কৃত) মো. আশ্রাফ আলী হাওলাদার (আনারস)।