নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
রাজধানীর বারিধারা এলাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে শনিবার (০৮ জুন) রাতে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ সদস্য কাওসার আলীর এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন পুলিশ সদস্য মনিরুল হক (২৭)।
এ খবর মনিরুলের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারসহ স্বজনদের মধ্যে শুরু হয় আহাজারি।
রোববার (০৯ জুন) রাত তিনটার দিকে গ্রামের বাড়িতে মনিরুলের মরদেহ এসে পৌঁছে। এ সময় স্বজনদের বুকফাটা কান্নায় যেন আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। মনিরুলের মরদেহ দেখতে ছুটে আসেন আশপাশের এলাকাসহ দূর-দূরান্তের শত শত মানুষ।
সোমবার (১০ জুন) সকাল ১০টায় বিষ্ণুপুর গ্রামে মনিরুলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নিতে মুসল্লিদের ঢল নামে। জানাজায় অংশ নেওয়া লোকজন মনিরুল হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার দাবি করেন এবং পরিবারটির দিকে সুদৃষ্টি রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান। পরে জানাজা শেষে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মনিরুলের দাফন সম্পন্ন হয়।
এভাবে মনিরুলকে হারানোর কষ্ট যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তার পরিবার ও স্বজনরা। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান তারা।
গত শনিবার (০৮ জুন) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর বারিধারা এলাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল কাওসার আলী কনস্টেবল মনিরুল হককে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এক পথচারীও। পরে রাতেই কাওসারকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত মনিরুলের বড় ভাই কনস্টেবল মাহবুব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় কাওসার আলীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।