নিজস্ব প্রতিবেদক :
গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন সামনে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নূর ২০১৯ সালে সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেও এবার ছাত্ররূপে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। এলাকায় প্রশাসনের পূর্ব ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা ১৯ আগস্ট, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ২৫ আগস্ট ও ভোট গ্রহণ ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
সর্বোচ্চ বয়সসীমা তুলে দেওয়ায় এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী যেকোনো বর্ষের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। তবে সান্ধ্যকালীন, পেশাদার এমএমএস কোর্স বা ভাষা কোর্সের শিক্ষার্থীরা এতে অনুপযুক্ত বলে জানানো হয়েছে।
ছাত্রসংগঠনগুলো এবার দলীয় প্যানেলের পরিবর্তে সম্মিলিত সাধারণ শিক্ষার্থী প্যানেল নিয়ে কাজ করছে। অর্জিত সাফল্য ও কোটা আন্দোলনের ভূমিকা বিবেচনায় নেতাদের মধ্যে আলোচিত হচ্ছেন:
আবু বাকের মজুমদার (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ আহ্বায়ক),
জাহিদ আহসান ও তাহমিদ আল মুদ্দাসির চৌধুরী (তদ্বিষয়ক নেতৃত্ব),
আবদুল কাদের (ঢাবি শাখা আহ্বায়ক),
উমামা ফাতেমা (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন),
মহিউদ্দিন মুজাহিদ (ঢাবি সাংবাদিক সমিতি সভাপতি),
আবিদুল ইসলাম খান ও বি এম কাওসার (ছাত্রদল প্রার্থী পথিক),
মেঘমল্লার বসু (ছাত্র ইউনিয়ন),
জাবির আহমেদ (বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী),
আবু সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদ (ইসলামী ছাত্রশিবির),
বিন ইয়ামিন মোল্লা (ছাত্র অধিকার পরিষদ)।
এবারের নির্বাচনে সহসভাপতি (ভি.পি.), সাধারণ সম্পাদক, সহসাধারণ সম্পাদক সহ মোট ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এরই অংশ হিসেবে তৈরি হয়েছে চারটি নতুন পদ: গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ও মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক।
অনেক সংস্থা নির্বাচনের আগে প্রশাসনকে তফসিল বেশ দ্রুত ঘোষণা করার প্রাথমিক তত্ত্বাবধানে কাজ করেছে। তবে নির্বাচন আয়োজনে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে অংশগ্রহণসংক্রান্ত প্রস্তুতি পর্যায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে—গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও ছাত্র ইউনিয়ন সংগঠনগুলো মিডিয়ায় দাবি করেছেন, নির্বাচন পূর্ব এবং পরবর্তী গঠনমূলক সংস্কার অগ্রগতি ছাড়া পূর্বগৃহীত কাঠামোতেই নির্বাচন সম্পন্ন করা হচ্ছে।
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবদুল কাদের বলেন, “উচ্ছ্বাস যেন বঞ্চিত না হয়, প্রশাসন সচেতন থাকুক। জেলা কুচক্রী প্রক্রিয়া যাতে নিরপেক্ষ নির্বাচন বিঘ্নিত না করে, তাতে তাদের সতর্ক থাকা উচিত।”
ইসলামী ছাত্রশিবির শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম স্বাগত জানিয়ে বলেন, “প্রতিটি ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিকভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়াটা প্রায় দুই দশকের দাবি ছিল।”
বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ বলেন, “অর্থশক্তির ব্যবহার যেন নির্বাচনে প্রভাব ফেলে না, প্রশাসনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।”