নিজস্ব প্রতিবেদক :
অন্যান্য শিক্ষক পদের ক্ষেত্রে নিয়োগ বিধিতে ৫০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ পদোন্নতির বিধান রাখা হলেও একমাত্র ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর শিক্ষক পদটিকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। যা অধিদপ্তরের সব শিক্ষক পদের সঙ্গে সম্পূর্ণ বৈষম্য। গ্রেডের এই বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পলিটেকনিক নন গ্রেডেড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাপনটিএ)।
আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় তারা।
এ সময় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সমূহে কর্মরত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ওপর বিভিন্ন প্রকার হুমকি, লাঞ্ছনা ও মিথ্যাচার বন্ধের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির মহাসচিব সুমন তালুকদার। তিনি বলেন, ‘সব মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে কর্মরত সব পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদটি। ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদটি বাংলাদেশ সরকারের গেজেট, অর্গানোগ্রাম, বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের আদেশ ও বিভিন্ন অফিস আদেশ অনুযায়ী এই পদটি শিক্ষক পদ।
তিনি আরো বলেন, ‘ক্রাফট ইনস্ট্রাকটরদের সব তথ্য উপাত্ত উল্লেখ করে বারবার মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর আবেদন দিলেও তাদেরকে হয়রানি মূলক বদলিসহ, বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। বৈষম্য দূর করতে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে। এর ফলে বিভিন্ন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের বের করে দেওয়া, নেমপ্লেট ভাঙা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করে অশ্লীল মন্তব্যসহ হোয়াটসএ্যাপ গ্রুপে হত্যার পরিকল্পনা করছে।’
সংবাদ সম্মেলন আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহসভাপতি আব্দুল মোতালেব, মো. রকুনুজ্জামান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাদিবুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক সম্রাট হোসেন প্রমুখ।