নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা যায় কি না, তা নিয়ে আগামী সাতদিনের মধ্যে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট কলেজটির শিক্ষার্থীরা। তারা এ পদক্ষেপকে ইতিবাচক বিবেচনা করে আপাতত রাজপথে আর কোনো কর্মসূচি দেবেন না বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানান, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা সম্ভব কি না, সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করতে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। সেজন্য আপাতত রাজপথে কোনো কর্মসূচিতে থাকছি না আমরা।
এদিকে, বৈঠক শেষে শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা) অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়া খুব কঠিন। তবে ঢাকা উত্তরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এছাড়া তিতুমীর কলেজের ১০ একর জমি রয়েছে। কমিটি সব বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত জানাবে।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে গত দুই মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) শিক্ষার্থীরা মহাখালী রেলগেট এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন। এ অবরোধ থেকে ট্রেনে ইট-পাথর ছোড়ারও ঘটনা ঘটে। এতে নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। টানা ৫ ঘণ্টা অবরোধ শেষে বিকাল ৪টায় তারা কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যান।
এদিন বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে যান তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সুরাহা না হওয়ায় ফের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সড়ক-রেলপথ অবরোধ ঠেকাতে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে তিতুমীর কলেজের ভেতরে প্রধান ফটকের পাশে অবস্থান নেন বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য। সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহলও চোখে পড়ে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীদের আপত্তির মুখে কলেজ থেকে বেরিয়ে যায় পুলিশ।
শিক্ষার্থীরাও তাদের সড়ক-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে এসে ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি করার ঘোষণা দেন। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি করেন। একই সময়ে সচিবালয়ে উপদেষ্টা নাহিদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে ৭ দিনের মধ্যে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা তাদের সব কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।