সোমবার , ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

ভোটের প্রচারে মানতে হবে যা কিছু

প্রতিবেদক
Newsdesk
ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩ ৬:২১ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক :

ভোটের প্রচারে প্রার্থীদের কী কী করার সুযোগ আছে, আর কী করা যাবে না- সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলা রয়েছে নির্বাচনি আচরণবিধিতে।

যেমন নির্বাচনি প্রতীক ও দলীয় প্রধানের ছবি নিয়ে প্রার্থীর ছবি সংবলিত পোস্টার হবে সাদাকালো এবং নির্দিষ্ট মাপের। আর সেসব পোস্টার ঝুলবে কেবল দড়িতে।

আচরণবিধিতে বলা হয়েছে কোনো দেয়াল, যানবাহন, ভবন বা সড়ক বিভাজককে প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। আলোকসজ্জা, গেইট বা তোরণ নির্মাণ নিষিদ্ধ। মাইংকিংয়ের জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়, প্যাণ্ডেল তৈরিতে মানতে হবে মাপ।

সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনি কর্মসূচি মিলিয়ে না ফেলতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প ঘোষণা, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনা বা ফলক উন্মোচনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

প্রচারের সময় :
প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীদের যে প্রচার শুরু হবে তা শেষ করতে হবে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে। অর্থাৎ প্রার্থীরা প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন টানা ১৮ দিন।

তারপর স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ও ব্যালট পেপারে ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট দেবেন ভোটাররা।

আচরণবিধি না মানলে প্রার্থী বা তার সমর্থকের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলসহ নিবন্ধিত দলকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার করারও বিধান রয়েছে।

আচরণবিধিতে যা আছে :

  • প্রার্থীর নির্বাচনি পোস্টার ঝুলিয়ে রাখতে হবে দড়িতে। পোস্টারে কেবল নির্বাচনি প্রতীক, প্রার্থীর ছবি এবং দলীয় প্রধানের ছবি ছাপানো যাবে। পোস্টার হবে নির্দিষ্ট মাপের এবং সাদা কালো; রঙিন পোস্টার নিষিদ্ধ।
  • নির্বাচনি প্রচারে কোনো গেইট বা তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। কোনোভাবেই চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যাবে না ।
  • প্রার্থী কিংবা সমর্থকরা ভোটের সমাবেশের জন্য ৪০০ বর্গফুটের বেশি আয়তনের প্যান্ডেল তৈরি করতে পারবেন না।
  • প্রচারের সময় প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনে প্রতি ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ একটি নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপন করা যাবে।
  • প্রচারের সময় বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ। ভোটারদের কোনো ধরনের খাবার বা উপঢৌকন দেওয়া যাবে না।
  • মাইকে ভোটের প্রচার চালানো যাবে কেবল দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
  • তফসিল ঘোষণার পর থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রকল্প অনুমোদন, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অথবা উদ্বোধন এবং অনুদান বা অর্থ বরাদ্দ দেওয়া যাবে না।
  • দেয়ালে লিখে কোনো ধরনের প্রচার চালানো যাবে না। কোনো যানবাহন, দালান, সেতু, সড়ক দ্বীপ ও ডিভাইডারেও ভোটের প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
  • নির্বাচনি প্রচারের ক্ষেত্রে প্রতীক হিসাবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না।
  • মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোনো উপাসনালয়ে কোনো প্রকার নির্বাচনি প্রচার চালানো যাবে না।
  • প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, হুইপ, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা ও তাদের সমান পদমর্যাদার কেউ, সংসদ সদস্য এবং মেয়ররা ভোটের প্রচারে প্রোটকল পাবেন না। কোনো উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধনও তারা করতে পারবেন না, যা প্রচার বলে গণ্য হতে পারে।
  • সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনি কর্মসূচি মেশানো যাবে না। প্রচারে সরকারি যানবাহন ও অন্যান্য সুবিধা ব্যবহার করা যাবে না। প্রচারে সরকারি চাকরিজীবীদের ব্যবহার করা যাবে না।
  • প্রার্থী বা এজেন্ট না হলে ভোট দেওয়া ছাড়া ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকব এবং ভোট দেওয়া ছাড়া নির্বাচনের আগে এলাকায় সফর ও প্রচারও নিষিদ্ধ।
  • প্রচারের সময় উসকানিমূলক, মানহানিকর, ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয় এমন বক্তব্য দিলেও তা হবে আচরণবিধির লঙ্ঘন।

যা করা যাবে :

  • দলীয় প্রার্থীর পোস্টারে দলীয় প্রতীক, প্রার্থী ও দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। তবে জোটপ্রধানের ছবি ব্যবহার করা যাবে না।
  • স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিজের ছবি ও প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন। কোনো দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
  • আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা চালানো, পোস্টার ছাপাতে হবে।

সর্বশেষ - জাতীয়