নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫ ভাগের ১ ভাগ দরিদ্র। এর মধ্যে দারিদ্র্যের হার বেশি বরিশালে ২৬ দশমিক ৯ ভাগ, আর সবচেয়ে কম খুলনা বিভাগে ১৪ দশমিক ৮ ভাগ। এছাড়া গত ৬ বছরে দেশের মানুষের গড় আয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে মাসিক গড় আয় ৭ হাজার ৬১৪ টাকা। যা ২০১৬ সালে ছিলো ৩ হাজার ৯৪০ টাকা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস এর খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২ সালের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতদিন উত্তরবঙ্গে দারিদ্র্য বেশি বলে যে ধারণা ছিল মানুষের, তা বিবিএসের এবারে প্রতিবেদন বদলে গেছে।
বিবিএসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বরিশাল বিভাগে দারিদ্র্যের হার ২৬ দশমিক ৯। আর সবচেয়ে কম খুলনা বিভাগে। এই বিভাগে দারিদ্র্যের হার ১৪ দশমিক আট। আর দেশের সার্বিক দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক সাত। ছয় বছর আগে, অর্থাৎ ২০১৬ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক তিন। দেশে অতি দারিদ্র্যের হার পাঁচ দশমিক ছয়, যা ছয় বছর আগে ছিল ১২ দশমিক ৯।
এ ছাড়া দারিদ্র্যের হার ঢাকায় ১৭ দশমিক ৯, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক আট, রাজশাহীতে ১৬ দশমিক সাত, সিলেটে ১৭ দশমিক চার, রংপুরে ২৪ দশমিক আট এবং ময়মনসিংহে ২৪ দশমিক দুই।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, গ্রামের মানুষের চেয়ে শহরের মানুষের আয় অনেকটাই বেশি। শহরের মানুষের মাসিক গড় আয় ১০ হাজার ৯৫১ টাকা। অন্যদিকে গ্রামের মানুষের আয় ৬ হাজার ৯১ টাকা।
পরিবারের উপার্জনকারীদের গড় আয় ২৫ হাজার ৭০৭ টাকা। ৬ বছর আগে যা ছিলো ১৩ হাজার ৬৪৬ টাকা। এসময়ে ধনীদের কাছে সম্পদ আরও পুঞ্জীভূত হয়েছে। আয়বৈষম্য আরও প্রকট হওয়ার চিত্র উঠে এসেছে বিবিএস এর জরিপে।
দেশের মোট আয়ের প্রায় ৪১ শতাংশ দেশের সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশ মানুষের। তবে সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষের আয়ের অংশীদারত্ব কিছুটা বেড়ে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ হয়েছে। তারপরও আয়বৈষম্য বেড়েছে।