আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
নতুন বছরের প্রথম দিনেই জাপানে আঘাত হেনেছিলেন ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প। সেই ভূমিকম্পের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন অনেকে। ধীরে ধীরে তাদের অনেকের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুসারে, দেশটির নতো অঞ্চলের ইশিকাওয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২ জনে।
আজ মঙ্গলবার নতোর আঞ্চলিক প্রশাসনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২ জনে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫৬৫ জন। এর আগে, গতকাল সোমবার ইশিকাওয়া প্রশাসন জানিয়েছিল, শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনায় নিখোঁজের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে ৩২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে জাপানের নতো অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পরপরই সুনামির আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবে অবশ্য ভূমিকম্পের মাত্রা বলা হয়েছে ৭ দশমিক ৪।
পরবর্তী কয়েক ঘণ্টায় অন্তত ১৫৫ বার ভূমিকম্প আঘাত হানে। জাপানের মিটিওরোলিজক্যাল এজেন্সি (জেএমএ) জানায়, এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬, অপর একটি ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬। এ ছাড়া বাকি ভূমিকম্পগুলোর প্রায় সবই ছিল রিখটার স্কেলে ৩ মাত্রার ওপরে। সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্রতাও কমে এসেছে। তবে স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকালের দিকেও বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেএমএ।
জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম জাপান টাইমস জানায়, ভূমিকম্পের পরপরই স্থানীয় ইশিকাওয়া, নিগাতা, তোয়োমা ও ইয়ামাগাতা প্রিফেকচারের উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তাদের দ্রুত উপকূল ছেড়ে উঁচু এলাকায় সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, রাজধানী টোকিও থেকেও এর কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের ১০ মিনিটের মধ্যেই ১২ ফুট উচ্চতার একটি ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে দেশটির ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের ওয়াজিমা বন্দরে