নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় পার্টি মন্ত্রিসভায় যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেছেন, সংসদের কার্যকর বিরোধীদল জাতীয় পার্টিই।
শনিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি মন্ত্রীসভায় যাবে না। সরকারি সুযোগ-সুবিধা না পেলেও সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা কেবল জাপাই নিতে পারে।
‘বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন, অনেকেই দলের পদ-পদবীতেও আছেন,’ বলেন চুন্নু।
সদস্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছে ৬২ আসন, আর সাবেক সেনাশাসক এইচএম এরশাদের গড়া দল জাতীয় পার্টি গতবারের তুলনায় অর্ধেক অর্থাৎ ১১ আসন পেয়েছে।
সংসদে বিরোধীদল কারা হচ্ছে তা নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বলেছেন, তারা বিরোধীদলে ছিলেন, এবারও বিরোধীদলে থাকতে চান।
এদিন চুন্নু বলেন, সংসদের কার্যকর বিরোধী দল জাতীয় পাটি। স্পিকার অন্য কাউকে বিরোধী দল হিসেবে বিবেচনা করলেও সংসদের কার্যকর বিরোধীদল জাতীয় পার্টিই।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচন করলেও গত দুই সংসদে বিরোধীদলের ভূমিকায় আছে জাতীয় পার্টি। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের রয়েছেন একাদশ সংসদের বিরোধীদরীয় উপনেতা।
এদিকে শুক্রবার দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ ও এইচএম এরশাদের সাবেক প্রেস সচিব সুনীল শুভ রায়কে নিয়ে কথা বলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব।
এবার ফিরোজ রশীদ ও সুনীলকে বিদায় করলেন জিএম কাদের এবার ফিরোজ রশীদ ও সুনীলকে বিদায় করলেন জিএম কাদের
তিনি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে একজন কো-চেয়ারম্যান ও একজন প্রেসিডিয়াম মেম্বারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের দেয়া ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম হাস্যকর ও অযৌক্তিক।
‘কার্যালয়ের সামনে তাদের বিক্ষোভ মন থেকে নয়, রাগ-ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তাদের রাগ-ক্ষোভ যৌক্তিক, কিন্তু তারা যেভাবে তা প্রকাশ করেছেন তা অযৌক্তিক,’ বলেন মুজিবুল হক।
তিনি আরো বলেন, বহিষ্কৃতদের আচরণ নমনীয় হলে, দলের চেয়ারম্যান চাইলে, তাদেরকে আবার ফেরাতে পারবেন।