নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর সন্নিকটে কহরদরীয়া খ্যাত টঙ্গী তুরাগ নদের তীরে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। প্রতিবছরের মতো এবারো বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্ব ২০২৪ সালের ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের ইজতেমায় আলমি শূরার মাওলানা জুবায়েরপন্থী মুসল্লিরা ইজতেমায় অংশ নেবেন। এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে নয় ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে উভয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।
ইজতেমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগত মুসল্লিরা জেলাওয়ারী খিত্তায় অবস্থান নিবেন। প্রতিবছরের মতো এবারো উর্দু ভাষায় বয়ান করবেন। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ও আরবি ভাষায় তর্জমা করা হবে। কহরদরীয়া নদের তীরবর্তী ১৬০ একর জমি বিস্তৃত ময়দানের উত্তর পশ্চিমে তৈরি হচ্ছে বয়ানমঞ্চ। এবং পশ্চিমপ্রান্তে কামাড়পাড়া বিজ্র সংলগ্ন বিদেশি মেহমানদের থাকার ঘর।
আগত মুসল্লিদের নদী পারাপারের জন্য থাকবে সেনাবাহিনী কর্তৃক (পল্টুন) ভাসমান সেতু। জেলাওয়ারী মুসল্লিদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ময়দান। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শত শত মুসল্লি সকাল থেকে স্বেচ্ছা শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। আগত মুসল্লিরা ময়দানে সামিয়ানা তৈরি, চট বাধাই, খুটি গাথা, মাটি কাটা, ময়দানের ময়লা আর্বজনা পরিস্কার, ড্রেন পরিস্কার, বিদেশিদের কামরা নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজ করছেন। মুসল্লিরা দিনের মেহনত ও আল্লাহকে রাজি খুশি করতেই ময়দানে এসে স্বেচ্ছায় শ্রম দিচ্ছেন। এভাবেই এগিছে চলছে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার সকল প্রস্তুতি।
গতবারের ন্যায় এবারো প্রথম পর্বে যোবায়ের অনুসারী মুসল্লিরা টঙ্গী ময়দানে ইজতেমার আয়োজন করছে। এরপর মাঝে চারদিন বিরতি দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সা’দ অনুসারীরা ইজতেমা আয়োজন করবে। মাওলানা জোবায়ের অনুসারী মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ইজতেমা মাঠের মুসল্লি মুফতি কামাল উদ্দিন জাহানপুরী গণমাধ্যমকে বলেন, আল্লাহর কাজে স্বেচ্ছায় শ্রম, অর্থ ও সময় দেয়া এর চেয়ে বড় নজির নেই। আল্লার কাজে দ্বিনের দাওয়াতে মেহনত করা, আল্লাহকে রাজি খুশি করা। দ্বিনের মেহনত করলে এর ইজ্জত আল্লাহ তা-আয়ালাই দিবেন। কোরআনে রয়েছে আল্লাহর কাজে জান মাল অর্থ সময় দিয়ে সাহায্যকারী হও, তাহলে আখেরাতে জিহাদের সমতুল্য মর্যাদা পাবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বর্তমান সরকারের পর্যবেক্ষণে এবারো বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগত মুসল্লিদের সেবায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ময়দানের চারপাশে বহুতল ভবন নির্মাণ করে টয়লেট ও গোসল করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ইজতেমা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে আগত মুসল্লিদের সেবায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।