নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘ডামি সরকার’ এখন ‘ডামি সংসদে’র জন্য ‘ডামি বিরোধীদল’ খুঁজছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, একজন ব্যক্তির ক্ষমতালিপ্সার কারণে দেশের পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাটিকে সম্পূর্ণরূপে আস্থাহীন, অকার্যকর ও হাস্যকর করে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন- জাতীয় পার্টিই হচ্ছে নতুন সংসদের প্রধান বিরোধী দল। গত নির্বাচনে এই পার্টি তাদের অস্তিত্ব আওয়ামী লীগে বিলীন করে দিয়েছিল। পোস্টারে শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই পার্টি এখন জাতীয় আওয়ামী পার্টিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, সম্ভবত বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে প্রধানমন্ত্রী বাছাই করেন বিরোধীদল কে হবে। ভোটারবিহীন গণবিচ্ছিন্ন সরকার দেশকে উপসংহারহীন পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করছে। নিজেদের অমরত্ব লাভের জন্য শেখ হাসিনা দেশকে এক গভীর অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রকে ধ্বংস ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্রমান্বয়ে খর্ব করে অবৈধ আওয়ামী সরকার দেশকে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। ভয়াবহ সংকটে দেশের অর্থনীতি। সবগুলো ব্যাংক বন্ধের দশা হয়েছে। দেশের ১০-১৫টি ব্যাংক যেকোনো সময় দেউলিয়া ঘোষণা হতে পারে। টাকা নেই সরকারের কাছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ছাপিয়ে ছাপিয়ে টাকা দিচ্ছে।
দেশের অর্থনীতি তলানিতে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে- এভাবে টাকা ছাপালে এই টাকা কাগজ হয়ে যাবে। দেশের অর্থনীতি তলানিতে। দেশে ভয়াবহ ডলার সংকট চলছে। এই সংকটে বৈদেশিক মুদ্রা আসার অন্যতম উৎস বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই বাড়েনি। ৯ মাসে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ২৪ শতাংশ! ইউরোপ-আমেরিকায় পোশাক রপ্তানিতে ধস নেমেছে। ১১ মাসে আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমেছে। নজীরবিহীনভাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।
সীমান্তে দায়িত্বপালনরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের এখন জীবনের নিরাপত্তা নেই বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, এত দিন দেখেছি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে সাধারণ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আর এখন দেখছি, সীমান্তে এখন বিজিবিরও নিরাপত্তা নেই। অন্য দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আরেকটা স্বাধীন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হত্যা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, বরং এটির সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত।