নিজস্ব প্রতিবেদক :
আসন্ন শবে বরাত ও পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে বেড়েই চলেছে গরু ও মুরগির মাংসের দাম। কিছুদিন আগে সবজির ভরা মৌসুমেও দাম ছিল চড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সবজির দাম। এছাড়া বাজারে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বাজারে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। ভোটের আগে প্রতি কেজির গরুর মাংস ৬০০ টাকা পর্যন্ত নামলেও ভোটের পরে তা ৭০০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে আরও দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। গরুর মাংসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, ‘রোজা ও কোরবানিকে সামনে রেখে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়েছে। সেজন্য বাজারে সরবরাহ কম, দাম বাড়ছে।’
গরুর মাংসের দাম বাড়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। সব মিলিয়ে মানুষ স্বস্তিতে নেই। যাত্রাবাড়ীতে কাঁচা বাজারে একজন ক্রেতা বলেন, ‘কোনো কিছুর দাম কমছে না। একবার বাড়লে সেটা আর কমে না। আমরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। আর সেটা দেখার কেউ নেই।’
বাজারে চড়া দামে আটকে আছে ব্রয়লার ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি হালি বাদামি ডিম ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বড় বাজারে। আর পাড়া মহল্লার দোকানে প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০ টাকা, ডজন ১৫০ টাকা। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শতক পেরিয়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম এখনও কমেনি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। একইসঙ্গে চড়া দামে আদা ও রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে।
শীতকালীন প্রতিটি সবজির কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে গ্রীষ্মকালীন সবজিগুলো ১০০ টাকার নিচে কিনতে পারছেন না ভোক্তারা। বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রকলি ৫০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা, খিরাই ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলু কেজিতে ৫ টাকা কমে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদি এসব বাজারে বগুড়ার লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া বাজার ঘুরে দেকা যায়, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকায়, শসা ১০০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, পটল ১৪০ টাকা এবং সাজনা ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, জালি কুমড়া ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজের ফুলকলি ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।