নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাজীপুর কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনের ঘটনায় দগ্ধ আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন গার্মেন্টস কর্মী আরিফুল ইসলাম (৩৫) ও গোডাউনের শ্রমিক মহিদুল (৩০)।
আজ রোববার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান তারা। এ নিয়ে ঘটনাটিতে মারা গেলেন ৫ জন।
দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, আরিফুলের শরীরের ৭০ শতাংশ আর মহিদুলের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো তাদের। সেখানেই আজ ভোরে তারা মারা গেছেন।
মৃত আরিফুলের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী সুমি আক্তার।
তিনি জানান, আরিফুলের বাবার নাম আ. রাজ্জাক বিশ্বাস। পরিবার নিয়ে কালিয়াকৈরে থাকতেন তিনি। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।
এদিকে মৃত মহিদুলের ভাগিনা মো. আকাশ বলেন, মইদুলের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বেড়াখোলা গ্রামে। বাবার নাম সাবেত খা। কালিয়াকৈরে একটি গোডাউনে কাজ করতেন তিনি।
সেই অগ্নিকাণ্ডে মহিদুলের স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী নার্গিসও (২২) দগ্ধ হয়েছেন। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে এ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ তৈয়বা (৪) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে মারা যায়। শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে মারা যায় মো. মুনসুর আলী আকন্দ (৪৫)।
এর আগে গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে মো. সোলেমান মোল্লা (৪৫) মারা যান।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় গ্যাস বিস্ফোরণে ৩৫ জন দগ্ধ হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় শফিক খান তার বাসায় গ্যাস শেষ হলে নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। পরে ওই গ্যাস সিলিন্ডার লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গ্যাস বের হতে থাকে। এ অবস্থায় সিলিন্ডারটি তিনি বাইরে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেন। এ সময় গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে পাশেই রান্না করা চুলার আগুন থেকে সিলিন্ডারসহ আশপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই রাস্তায় থাকা এবং আশপাশের কমপক্ষে ৩৫ জন আগুনে দগ্ধ হয়।