ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠিতে ৭২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ক্ষোভ ফুঁসে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও এবং ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জনসাধারণ বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান নেন। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ৭২ ঘণ্টায়ও চালু না হওয়ায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিক্ষুব্ধ একাধিক এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের সামনে পরীক্ষা। বর্ষা-বন্যায় এমনিতেই নাকাল অবস্থায়। তারপরে ৩দিন ধরে বিদ্যুৎ নাই। তীব্র গরমে গোসল, খাবার পানি, বাথরুমের পরিচ্ছন্নতার কাজে অসহায় অবস্থায় থাকতে হচ্ছে।’
স্থানীয় লোকজন জানান, ইঞ্জিনিয়ারের কাছে জেলা প্রশাসক খোঁজ খবর নিলে সকাল ১০টায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার আশ্বাস দেন নির্বাহী প্রকৌশলী। তবুও সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগের কোনো তৎপরতা না থাকায় লোকজন জড়ো হয়। এর মধ্যে ফাঁকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গ্লাস ভাঙচুর করে। কয়েকজন প্রধান ফটকও ধাক্কাধাক্কি করে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘৭২ ঘণ্টা আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ঝড় বন্যা কমলেও দ্রুত বিদ্যুৎ দেয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নাই। দায়সারাভাবে লোক দেখানো কাজ করে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গেও দ্বিমুখী কথা বলেছে। আশপাশের সব স্টেশনে বিদ্যুৎ থাকলেও শুধু ঝালকাঠি শহরে বিদ্যুৎ নাই।’
সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি ওয়াদা করেছেন আর ২ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ দেবেন।’