বান্দরবান প্রতিনিধি :
বান্দরবানে গোপন বৈঠক কালে জামায়াতের ৭ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার বান্দরবান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. নূরুল হক গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।
আসামীরা হলেন, জামায়েতের বান্দরবানের সদস্য মো. ইমরানুল হক (৩০), মো. মাহফুজুর রহমান (৪৬), নুরুল আবছার (২৮), ইউনুছ মিয়া (২৯), মো.আশরাফুল ইসলাম (৩০), মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরী (৩৬), হুমায়ূন কবির (৩৭)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বান্দরবান সদরের যৌথ খামার এলাকায় সন্ত্রাস, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও জঙ্গী বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বান্দরবান জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তাদের প্রত্যেকের মোবাইলে রাষ্ট্র বিরোধেী বিভিন্ন কার্যক্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন টেক্সট ম্যাসেজ, ভিডিও-অডিও বার্তা ও তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হোটেল নিলাদ্রী থেকে মতিউর রহমান নিজামীর লেখা “রাসুল্লাহ (সা.) মক্কার জীবন নামক একটি বই, খুররম জাহ্ মুরাদ এর লেখা “ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পারিক সম্পর্ক নামক একটি বই, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ব্যক্তিগত রিপোর্ট (কর্মী) নামক একটি বই,সদস্য (রুকন) প্রার্থী নামক একটি বই, প্রেরণা নামক একটি ম্যাগাজিন, কুরআনের মর্যাদা রক্ষার অনন্য নজির, শ্রমিক বার্তা নামক একটি ম্যাগাজিন, মাসিক প্রেরণা নামক একটি ম্যাগাজিন, সফল আন্দোলনের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যসহ অন্যান্য লেখা সংযুক্ত বই, আওয়ামী সরকারকে উৎখাত কর” শিরোনামে ৫০টি লিফলেট,বান্দরবান উপজেলা-পৌরসভায় ২০২৪ সালে গণসংযোগের রিপোর্ট, দাওয়াত মুমিন জীবনের মিশন নামক লেকচারশীট, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী সহযোগী সদস্য ফরম, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী কর্তৃক প্রকাশিত লিপিলেট উদ্ধার করা হয়। পরে গেপ্তার করা আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নাকোজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মো. নূরুল হক কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।