রবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

যুদ্ধবিরতি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি

প্রতিবেদক
Newsdesk
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ ৬:৫২ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা ১২তম মাসে গড়িয়েছে। শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, দখলদার ইসরাইলের হামলায় আগের ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ৬১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও ১৬২ জন। এক বিরল জনবিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা প্রধান শনিবার দাবি করেছেন, একটি যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তির জন্য তারা অন্তহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে তা সত্তে¦ও যুদ্ধ থামার কোনো ইঙ্গিত মিলছে না। খবর এএফপি ও আলজাজিরার।

গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে নজিরবিহীন এক হামলা চালায় গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস। সে দিন থেকে গাজায় পাল্টা নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। শনিবারের আগের দুই দিনে নতুন করে আরও ৬১ জন নিহত হওয়ার মাধ্যমে গাজায় চলমান যুদ্ধে ৪০ হাজার ৯৩৯ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হলো। অপরদিকে আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ৬১৬ জনে। এএফপি বলছে, মধ্যস্থতাকারীদের বিরামহীন চেষ্টার পরও নতুন করে যুদ্ধবিরতির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কারণ যুদ্ধবিরতি নিয়ে দুই পক্ষই নিজেদের শর্তে অনড়। ফলে প্রায় এক বছর ধরে চলা এই হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ কবে থামবে, তা অনিশ্চিত।

যুদ্ধ ১২তম মাসে গড়ানো নিয়ে গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পি লাজ্জারনি লিখেছেন, ‘১১ মাস। যথেষ্ট হয়েছে। এটা আর কেউ নিতে পারছে না। মানবতাকে অবশ্যই সমুন্নত রাখতে হবে। এখনই এই যুদ্ধ বন্ধ করুন।’
গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ বন্ধে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা আহ্বান জানালেও আপাতত যুদ্ধবিরতির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর পক্ষ থেকে অবশ্য দুই পক্ষকেই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে রাজি করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু নিজেদের শর্তে দুই পক্ষই অনড় অবস্থানে বলে খবর দিয়েছে এএফপি। হামাসের শর্ত, ইসরাইলি সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নিলেই কেবল তারা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে রাজি হবে। তবে এতে আপত্তি ইসরাইলের। নেতানিয়াহু সরকার চায়, যুদ্ধবিরতি হলেও ইসরাইলি সেনারা গাজার বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন থাকবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত বৃহস্পতিবার জানান, যুদ্ধবিরতির ‘৯০ শতাংশ শর্ত নিয়ে দুই পক্ষই ঐকমত্যে পৌঁছেছে’। যুদ্ধবিরতির চুক্তি চূড়ান্ত করতে ইসরাইল ও হামাসকে এদিন আহ্বান জানান তিনি। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে ঐকমত্য নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উল্টো কথা বলেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে তিনি শুক্রবার বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি।

ব্রিটিশ গোয়েন্দাপ্রধান স্যার রিচার্ড মুর এবং সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, সংস্থা দুইটি তাদের গোয়েন্দা চ্যানেলগুলোকে কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংযম এবং উত্তেজনা নিরসনের জন্য কঠোর চাপ সৃষ্টি করেছে। তারা বলেছেন, ‘আমাদের কার্যক্রম গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তি অর্জনের জন্য অবিরাম কাজ করছে, যা ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ এবং ভয়ংকর জীবনের ক্ষতির অবসান ঘটাতে পারে এবং হামাসের ১১ মাসের নারকীয় বন্দিত্বের পর জিম্মিদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারে।’

গাজায় বর্বর হামলা চালানো ছাড়াও সেখানে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরাইল। এ কারণে সেখানকার সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় পণ্য পাচ্ছে না। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজায় এখন পর্যন্ত অপুষ্টিতে ভোগে ৩৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সর্বশেষ - জাতীয়