নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোটা সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ আহত মো: বাবুল মৃধা (৪৭) মারা গেছেন। সে পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন। বিএনপি’র সর্মথক ছিলেন।
তিনি সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার সকাল পৌনে ১০ টায় মারা যান।
মৃতের ছেলে আবু তালিব বলেন, ‘গত ১৯শে জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমি গিয়েছিলাম। আমার বাবা ঐদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে আমাকে খুঁজতে গিয়ে যাত্রাবাড়ী থানাধীন শনির আখড়া লাকি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পেছন থেকে গুলিবিদ্ধ হন।’
তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একই দিন রাতে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে ১৮ আগস্ট পিলখানা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে আবার ২২ আগস্ট সিএমএইচ এ ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
সেখান থেকে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
এদিকে মৃতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মোঃ কামরুজ্জামান।
মৃত বাবলু পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার খারিজা বেতাগী গ্রামের মফেজ আলী মৃধার ছেলে। দুই ছেলের জনক বাবলু স্ত্রী সিমা বেগমকে নিয়ে যাত্রাবাড়ী ধনিয়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
মৃতের ছেলে আবু তালিব ধনিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ইন্টার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ছোট ছেলে মাহিন দেড় বছর বয়সী।