নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে এবং দালিলিক তথ্য সংগ্রহের জন্য এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দেশে ৭১টি মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব চিঠির মধ্যে ২৭টির জবাব পাওয়া গেছে।
দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে এবং প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে আজ মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ সময় বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম বলেন, আজ দুদকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন ছাড়াও কমিশনের প্রতিরোধ, মানি লন্ডারিং ও গোয়েন্দা শাখার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইইউ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মিচে ক্রিজা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার অব ইনক্লুসিভ গভর্ন্যান্স পাবলো পাদিন, মিস নাদের তানিজা ও কিশোয়ার আমিন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের অবহিত করা হয়েছে উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল তাদের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থপাচার সংক্রান্ত মামলাগুলোর ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছি, সেগুলো তাদের বিস্তারিত জানিয়েছি। যেসব দেশে অর্থ পাচার অর্থাৎ মানিলন্ডারিং হয়েছে সেসব দেশের নামগুলো সুনির্দিষ্টভাবে তাদের দেওয়া হয়েছে।