তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় গোলাম মাওলা রনি
নিজস্ব প্রতিনিধি : পটুয়াখালী-৩ আসনে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাম মাওলা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ২০১৮ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হন। তিনি আবারও সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে আলোচনা আছে।
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী চিঠি দিয়ে বিএনপি নেতা–কর্মীদের পটুয়াখালী–৩ আসনে (গলাচিপা–দশমিনা) নুরুল হককে জনসংযোগ ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। নুরুল হকের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নে। এই আসন থেকে তাঁর নির্বাচন করার গুঞ্জন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এই চিঠি প্রকাশ পাওয়ার পর পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতা–কর্মীদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
এ প্রসঙ্গে গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু হবে না।’
চিঠি প্রসঙ্গে গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘আসলে বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, পত্রিকা থেকে জানতে পেরেছি। আর এটা নিয়ে আমার কোনো প্রতিক্রিয়াও নেই। তবে রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ যেমন শেখ হাসিনা অল–ইন–অল, তেমনি বিএনপিতে তারেক রহমান সাহেবের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এর বাইরে কিছু হবে না।’
নুরুল হক এখন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি উল্লেখ করে গোলাম মাওলা আরও বলেন, ‘এটা হলো বাস্তবতা। আপনি চিন্তা করেন, যেখানে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা ফখরুল সাহেব দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে ভিপি নুরের অফিসে গিয়ে দেখা করে আসেন। হাসপাতালে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে আসেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান থেকে শুরু করে সব সিনিয়র নেতা। তিনি (তারেক রহমান সাহেব) যদি ওখানে (পটুয়াখালী–৩) মনোনয়ন দিতে চান কিংবা বরিশাল বিভাগে সমন্বয়ক হিসেবে জনাব নুরকে দায়িত্ব দিতে চান, এখন এটার সাথে তার কী আলাপ হয়েছে বা কী সিদ্ধান্ত, এটা আসলে দলের কারও প্রশ্ন করার মতো প্রয়োজনও নেই, দরকারও নেই, কারও সাহসও নেই।’
গোলাম মাওলা বলেন, ‘আমি তো বিএনপির কমিটিতে নেই। কোনো সিঙ্গেল কমিটিতেও নেই। আমাকে তিনি (তারেক রহমান) কিছু বলেননি। আমাকে যদি বলতেন, আপনিও যান নুরু সাহেবের সঙ্গে গিয়ে এলাকায় তাঁর পক্ষে কাজ করেন, তখন আপনি প্রশ্ন করতে পারতেন। কিন্তু এখনো আমাকে কিছু বলেননি।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে রিজভী সাহেবও বলেননি, তারেক রহমান সাহেবও কিছু বলেননি। যদি ওনারা বলতেন কোনো কিছু, তখন আমি আমার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতাম বা কিছু করতাম। এটাই আমার বক্তব্য।’