বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

অতিঃ জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আব্বাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রতিবেদক
Newsdesk
নভেম্বর ২০, ২০২৪ ৬:৩৯ অপরাহ্ণ

অপরাধচিত্র প্রতিবেদক :

ঘুস নিয়ে রায় প্রদান করেছেন এবং এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হলে জয়পুরহাট জেলার দ্বিতীয় আদালতের বিচারক (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) মো. আব্বাস উদ্দীন হত্যার হুমকী ও চুরির ঘটনা সাজিয়ে মামলাও করেন।

এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে জয়পুরহাট জেলা শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীনের ভাড়াবাসায় ঢুকে দুষ্কৃতকারীরা চুরি করার পাশাপাশি তাকে ফাঁসি দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বিচারক আব্বাস উদ্দীন বাদী হয়ে চুরি ও হুমকির অভিযোগে থানায় মামলা করেন।

খোজ নিয়ে জানা যায়, ৩১ জানুয়ারি একটি হত্যা মামলায় রায় দেন বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন। ওই মামলার আসামি ছিলেন বেদারুল ইসলাম বেদীন, সরোয়ার রওশন, মশিউর রহমান, মনোয়ার হোসেন, নজরুল ইসলাম, রানা, শাহী, টুটুল, সুজন, রহিম ও ডাবলু। রায়ে এই ১১ জন আসামির মৃত্যুদণ্ডসহ প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীনের ধারণা, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা নিজেরা বা দলীয় লোকজনকে দিয়ে তাকে হত্যা করার জন্য এমনটি ঘটিয়েছে।
মো. আব্বাস উদ্দীনের করা মামলায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাগর হোসেন ও সুমন চক্রবর্তী নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে পুলিশ উল্লেখযোগ্য তথ্য পায়নি। পরে সুমনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তার কাছ থেকেও কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শফিউল আলম।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তদন্ত করে। তদন্তের পর মো. আব্বাস উদ্দীনকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়।

নৈতিক স্খলন ও পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ : মোঃ আব্বাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ফাতেমা খানম আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। ফাতেমা খানমের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। ২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর ইসলামী শরীয়া মোতাবেক তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। এই দম্পতির সৈয়দা তাসফিয়া তাসনিম বয়স ৯ বছর ও আব্দুল্লাহ নামে দুটি সন্তান রয়েছে।

মোঃ আব্বাস উদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা খানম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন ‘আমার স্বামী মোঃ আব্বাস উদ্দীন বহুদিন ধরে ঘুষ, দুর্নীতির ও নারি কেলেংকারির সাথে জড়িত। তিনি শুধু আমার সাথে নয়, পুরো রাষ্ট্রের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছেন। তিনি টাকার বিনিময়ে রায় প্রদান করেন, উলেখ্য. দায়রা মামলা নং ১৬৩/১৪ এর পূর্বের তারিখ ১৫/১১/২২ ছিলো, কিন্তু আসামিরা হাজির না থাকায় পরবর্তী তারিখ পড়ে ২৭/১১/২২ইং। পরবর্তীতে আসামিদের সাথে যোগযোগের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে ২৭ তারিখ কে ১৭/১১/২২ তারিখ দেখিয়ে এই মামলার ৩ জন আসামিকে খালাস প্রদান করেন।

ঘুস নেন আব্বাস উদ্দীন রায় লেখেন উকিল: টাকার বিনিময়ে উকিলের লিখে দেয়া মামলার রায়ে ঘুস নেন আব্বাস উদ্দিন। ফাতেমা খানমের অভিযোগ থেকে জানা যায়, দেওয়ানী আপীল নং ১৪৩/৯৭ মামলার রায় লিখেন উকিল মহিউদ্দিন সাহেব নিজে, শুধু ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমার স্বামী রায়ের কপিতে স্বাক্ষর করেন। দেওয়ানী আপীল নং ৪০/০৬ মামলায় রায় দিয়েছেন নিজে কিন্তু হোয়াটস্ অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে উক্ত মামলার লিখিত রায় উকিল সাহেবের নিকট থেকে ই-মেইল এর মাধ্যমে নিয়েছেন, আর এই রায়ে ১১ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে তিনি শুধু কপিতে স্বাক্ষর করেন। (ই-মেইল ধঁনলং১০০@মসধরষ.পড়স-এর মাধ্যমে রায় প্রাপ্তির তারিখ ১১/০৫/২০২২)। ফাতেমা খানম দাবি করেন, তার লেখা কয়েকটি মামলার রায় এবং এই মামলাগুলির রায় পাশাপাশি করলে বা তদন্ত করলে প্রমাণ মিলবে। এছাড়াও ঘুষ গ্রহণ করে তিনি বিভিন্ন মামলায় রায় প্রদান করেন যা সুষ্ঠু তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব ভার শেষ হলেও গোপালগঞ্জ থেকে তিনি একাধিক মামলার রায় দিয়েছেন ব্যাক ডেটে যা আমি পেসকার মাহবুবের সাথে আলোচনা করতে নিজে শুনেছি। বাসায় মামলার নথি এনে বাসায় ও অফিসে বাইরের লোক দিয়ে নিয়মিত মামলার রায়ের কাজ করিয়েছেন। (এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও অপরাধচিত্র’র কাছে আছে) প্রতিদিন মক্কেলের ঘুষের টাকা নিয়ে বাসায় আসা-যাওয়া করতেন পেসকার মাহবুব ও উকিল মহিউদ্দিন। মাঝে-মধ্যে মক্কেল নিজেরাও ঘুষের টাকা দিতে বাসায় আসেন যার স্বাক্ষি আমি নিজেই। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে আব্বাস উদ্দিন তাকে মারধর করেন, বিভন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখান ও তালাক প্রদানের হুমকি দেন বলে দাবি করেন ফাতেমা খানম।

অঢেল সম্পত্তির মালিক: অভিযোগে ফাতেমা খানম আরও দাবি করেন, তিনি ও তার অন্যান্য ভাই ঘুসের টাকায় অল্পদিনেই বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়েছেন। তার ঘুসের টাকায় তিনি ফরিদপুর শহরের আলিপুরে অবস্থিত একটি বাড়ি যার মূল্য ৫ কোটি টাকার উপরে, ফরিদপুর শহরের ১নং সড়কে অবস্থিত ৬ শতাংশ জমি যার মূল্য ১ কোটি টাকা, গোপালগঞ্জে পুলিশ লাইনের পাশে কিনেছেন একাধিক প্লট, কিনেছেন নিজে একটি পিকআপ গাড়ি ঢাকা মেট্রো- ন-২১-১৭৬৩ যার মূল্য ৩০ লাখ টাকার উপরে।
এছাড়াও তিনি তার ঘুসের টাকায় স্থাবর অস্থাবর অঢেল সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন। অভিযোগে ফাতেমা খানম আরও দাবি করেন, তিনি আইনের লোক হয়ে প্রতিনিয়ত আইন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

বিচার বিভাগ দলীয়করণ, দলীয় আনুগত্যের দুর্নীতিবাজ, দুর্নীতিগ্রস্ত অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার অবিশ্বাস্য সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের অনেকেই অবৈধ উপায়ে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কেউ কেউ আবার হাজার কোটি টাকার মালিক। অনেকের আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে দেশে ও বিদেশে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা শাখার গোপন অনুসন্ধানে বিচার বিভাগের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া ৫১ জনের তালিকায় বিপুল অর্থ ভাণ্ডারের মালিক জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) মো. আব্বাস উদ্দীনও আছেন।

ঘুস আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই আমার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুটি নাবালক শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে এতো দিন আমি কিছু বলতে পারি নাই। দুর্নীতি, ঘুষ আর নারী কেলেংকারী যা সহনশীল নয়। মুখোশধারি মানুষ নামের অমানুষটি দিনে দিনে যে বেআইনি কাজগুলি করছেন তা বিচার বিভাগ ও নিজের সঙ্গে চরম নিকৃষ্ট প্রতারণা।
যেহেতু আমি আমার স্বামীর সকল ঘুস ও দুর্নীতির বিষয় জানি, তাই আমার স্বামী আমাকে বহুদিন ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছেন। একই সাথে তিনি সন্তানদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করতেন। এছাড়াও প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিতেন যাতে আমি তার অপকর্মের কথা কাউকে না জানাই।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দেয়ার পরও বহাল তবিয়তে: নির্যাতনের মাত্রা অতিরিক্ত হবার কারণে ২০১৭ সালে আমি মন্ত্রণালয়ে অভিযোগপত্র জমা দেই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করার ঘটনা তিনি জেনে যান। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ে আমার স্বামী মোঃ আব্বাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরিপ্রেক্ষিতে তার চাকরির সমস্যা হয়। অত:পর তিনি আত্মীয়-স্বজনসহ আমাদের গ্রামের বাড়িতে এসে আমার মা-বাবাসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনকে বুঝিয়ে এবং আমার মা বাবার হাতে পায়ে ধরে মাফ চেয়ে এই প্রতিশ্রুতি দেন যে, তিনি আর কোন দিন আমার সাথে আর কখনো খারাপ আচরণ করবেন না এবং আমাকে দৈহিক কিংবা মানসিক কোন ধরনের নির্যাতন করবেন না।

আমার পিতা-মাতার নিকট তিনি অনুরোধ করেন, তিনি আমাকে নিতে এসছেন, আমার পিতা-মাতা যেন দয়া করে আমাকে তার সঙ্গে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে আমার পিতা মাতা আত্মীয় স্বজনদের সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে আমার স্বামী মো: আব্বাস উদ্দীনের সাথে যেতে নির্দেশ প্রদান করেন এবং আমাকে মোঃ আব্বাস উদ্দীন তার তৎকালীন কর্মস্থল বরগুনা জেলায় নিয়ে যান। যেহেতু তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছিল সেহেতু সংসার চলাকালীন সময়ে চাকরির সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আমাকে বুঝিয়ে এবং আমার সাথে সুকৌশলে ভালো ব্যবহার করে, আমাদের সংসার বাঁচানোর কথা বলে আমাকে দিয়ে দায়েরকৃত অভিযোগপত্রটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে উত্তোলন করান।

নৈতিক স্খলনের অভিযোগ : ফাতেমা খানম দাবি করেন, দায়েরকৃত অভিযোগপত্রটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে উত্তোলন করার পর সংসার চলাকালীন সময়ে আমার দ্বিতীয় সন্তান আব্দুল্লাহ জন্মগ্রহণ করে। সেখানে আমাদের সংসার করার সময় মোঃ আব্বাস উদ্দীনের গোপালগঞ্জ বদলি হয় এবং গোপালগঞ্জে বদলি হয়েও পূর্বের ন্যায় চারিত্রিক স্খলন ঘটিয়ে সে একাধিক মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়। আমি ঘটনা জেনে যাই এবং তাকে অনুরোধ করি ভুল পথে না যাওয়ার, সংসারে অশান্তি সৃষ্টি না করার। তাকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেই যে, আমাদের দু’টি রয়েছে, তাদের ভবিষ্যত রয়েছে, তারা তোমার কার্যকলাপে কষ্ট পাচ্ছে। এ বিষয়ে কর্ণপাত না করে আমার চুলের মুঠি ধরে কিল ঘুষি মেরে শরীরের স্থানে জখম করে। সব থেকে বেশি আঘাত করে আমার চোখে। যার ফলশ্রুতিতে এখন আমার দৃষ্টিশক্তি লোপ পেয়েছে। আমার চোখের অবস্থা বেশি খারাপ হলে গোপালগঞ্জে স্থানীয় ডাক্তার দেখাই তাতে অবস্থার কোন পরিবর্তন হয় নাই।
মোঃ আব্বাস উদ্দিন একাধিক বিবাহিত মহিলার সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত আছেন। মো: আব্বাস উদ্দিন গোপালগঞ্জ থাকাকালীন তার গাড়িচালক লিটনের মাধ্যমে আমি জানতে পারি, তিনি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে বিভিন্ন মেয়েকে নিয়ে বিভিন্ন দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণ করতেন। গোপালগঞ্জের অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিনের স্ত্রীর সাথেও তাহার অবৈধ সম্পর্ক আছে। মো: আব্বাস উদ্দিন তাদের বাসায় যাতায়েত করতো যা গোপালগঞ্জে আদালত পারায় ঐ সময়। তুমুল তোলপাড় হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। তিনি সব সময় বহিরাগত লোকের সাথে মেলামেশা করেন এবং তাদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখেন। তিনি মাঝে মধ্যেই মহিউদ্দিনের বাসায় রাত্রি যাপন করতেন এবং প্রায় সময়ই মহিউদ্দীনের স্ত্রীর সাথে টেলিফোনের পাশাপাশি হোয়াটস্ অ্যাপের মাধ্যমে কথা বলতেন। আমার স্বামীকে ফোন দিতে মহিউদ্দিনের স্ত্রীকে নিষেধ করলে মহিউদ্দিনের স্ত্রী বিষয়টি আমার স্বামীকে জানান। তার নালিশের ভিত্তিতে আমার স্বামী আমাকে কিল-চড়, লাথি মেরে ফ্লোরে ফেলে দেয়। আমার স্বামী মো: আব্বাস উদ্দীন বিভিন্ন সময় মহিউদ্দিনের স্ত্রীকে দামি দামি উপহারও কিনে দিতো। এমনকি মহিউদ্দিনের স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসাও করাতেন আমার স্বামী।
উদ্দেশ্য অসৎ: ফাতেমা খানম মন্ত্রণালয়ে দেয়া অভিযোগে দাবি করেন, মোঃ আব্বাস উদ্দীন মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভুল বুঝিয়ে চারটি (যার প্রতিটি মুল্য ১০০টাকা) অলিখিত সাদা স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নেন। সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার পর আমার উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তোমার ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় লাগবে। আমি কর কমিশন অফিস, গোপালগঞ্জ গিয়ে জানতে পারি ট্যাক্স রির্টান জমা দিতে কোন স্ট্যাম্প লাগে না। তিনি কি উদ্দেশ্যে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে সে সম্পর্কে আমি অবগত নই।

খোঁজ নেন না স্ত্রী-সন্তানদের: ফাতেমা খানম অভিযোগে দাবি করেন, আব্বাস উদ্দিন গোপালগঞ্জ হতে জয়পুরহাটে বদলী হওয়ার পর থেকে কোনো খোঁজ-খবর না নেয়ায় গোপালগঞ্জে ভাড়া বাসা ছেড়ে দেই। বাধ্য হয়েই সন্তানসহ আমি আমার পিত্রালয়ে চলে আসি।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দেয়া অভিযোগে এ বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্তসহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান ফাতেমা খানম।

মো. আব্বাস উদ্দীনের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সর্বশেষ - জাতীয়