নিজস্ব প্রতিবেদক :
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইনের খসড়া থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য আইনে তা বহাল থাকবে।
আজ বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিং এ কথা জানান তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই উপদেষ্টা পরিষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদকে গ্রহণ করতে হবে। আমাদের প্রস্তাব আছে (রাজনৈতিক দলের সাজার সুপারিশ করতে) আদালতকে সরাসরি ক্ষমতা দেওয়া।’
তিনি বলেন, ‘খসড়ায় বলা হয়েছে, আদালত যদি মনে করেন তাঁরা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কনসার্নড অথোরিটির (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ) কাছে সুপারিশ করতে পারেন।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়ায় খুন, গুম, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কোনো দল বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হলে সেই দল বা সংগঠনের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করা যাবে।
উল্লেখ্য, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭৩ সালের আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের বিচার করে। একই অভিযোগে সংগঠন বা দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করার জন্য রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার বিধান রেখে এই আইনের সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেছিল শেখ হাসিনার সরকার, যদিও শেষ পর্যন্ত তারা তা করেনি।