নিজস্ব প্রতিবেদক :
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিরুদ্ধে আগে হয়া শ্রম আদালতের ৫টি ও মানহানির একটি মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। গত ২৪ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আছাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আজই মামলার আদেশের অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গ্রামীণ কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানার বিরুদ্ধে গ্রামীণ কমিউনিকেশনের একজন কর্মচারী ২০১৯ সালে মামলা করেন, যাতে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুতির অভিযোগ আনা হয়। এ ধরনের মামলা মোট পাঁচটি হয়। পাঁচটিই বাতিল হয়ে গেছে।
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় হওয়া ২০১০ সালের একটি মানহানীর মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত তার আদেশে বলেন, এই মামলাটি হয়েছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করা এবং এই হয়রানি করতে আদালতকে ব্যবহার করেছিলেন মামলার বাদী।
এদিকে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হওয়া ৫টি মামলার কার্যক্রমও বাতিল করে দেন। এ মামলাগুলো ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে বিচারাধীন ছিল।
আদালত তার আদেশে লিখেন এ মামলাগুলো করে আদালতের সময় নষ্ট করেছেন বাদী। শুধু তাই নয় এ সমস্ত মামলাই করা হয়েছে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে। আর সে কারণেই এ ৫টি মামলা বাতিল করা হলো।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার প্রচণ্ড জনরোষে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. ইউনূস।