শুক্রবার , ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামির ৭ দিনের রিমান্ড

প্রতিবেদক
Newsdesk
ডিসেম্বর ৬, ২০২৪ ৬:৪১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :

চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি চন্দনকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলার আরেক আসামি রিপন দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।

চন্দনের ৭ দিন এবং তদন্তেপ্রাপ্ত অপর আসামি রিপন দাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে পুলিশ উভয় আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ ছাড়াও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা থেকে আলিফ হত্যার তদন্তে প্রাপ্ত আরেক আসামি রিপন দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, আইনজীবী হত্যার ওই ভিডিওতে কমলা রঙের টি-শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত চন্দন (৩৫) ছুরি হাতে সাইফুলকে কোপ দিচ্ছিলেন। চন্দনের মাথায় ছিল হেলমেট। আর রিপনকে ফুটেজে নীল রঙের গেঞ্জি হাতে বঁটি নিয়ে দেখা গেছে। তবে তিনি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি নন। এ পর্যন্ত চাঞ্চল্যকর এ হত্যায় জড়িত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রামে ফেরার পথে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন তাকে নগরের কোতোয়ালি থানায় হওয়া একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।

এর পর চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। তখন তার অনুসারীরা প্রিজনভ্যান আটকে দেন। তারা এ সময় প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হল গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে।

এ ছাড়া আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা এবং ভাই খানে আলম বাদী হয়ে যানবাহন ভাঙচুর ও জনসাধারণের ওপর হামলার ঘটনায় ১১৬ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা করেন নগরের কোতোয়ালি থানায়।

সর্বশেষ - জাতীয়