নেত্রকোণা প্রতিনিধি :
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে নেত্রকোণায় সাংবাদিক মো. শফিকুল ইসলাম কুদ্দুছ ও রোমান হাসানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে নেত্রকোণা সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম কুদ্দুছ ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকার নেত্রকোণা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তিনি রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশনের ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সচিব। আর রোমান হাসান ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকার নেত্রকোণা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
আজ বৃহস্পতিবার ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ও বাংলাভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি মাহবুবুল কিবরিয়া চৌধুরী, চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান, বণিক বার্তা ও এনটিভির নিজস্ব প্রতিবেদক ভজন দাশ, সমকালের প্রতিনিধি খলিলুর রহমান শেখ, এশিয়ান টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, শফিকুল ইসলাম কুদ্দুছ ও রোমান হাসান গত ১৭ ডিসেম্বর পেশাগত দায়িত্ব পালনে জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় যান। কেন্দুয়ার ছিলিমপুর মোড় এলাকায় রাস্তার পাশে থাকা বালুর স্তূপের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন তারা। অভিযোগ রয়েছে ওই বালুগুলো অবৈধভাবে উত্তোলন করে রাখা হয়েছে। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে ওই সাংবাদিকদের মারধর করে একটি ঘরে নিয়ে আবদ্ধ করেন। পরে দুর্বৃত্তরা সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধর করেন। এতে শফিকুল ইসলামের বাম হাত ও পা ভেঙে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শফিকুল ইসলাম কুদ্দুছের অভিযোগ, দুর্বৃত্তরা তাদের টিনের ঘরটিতে আটকে রেখে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে মেরে লাশ গুম করে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। দুর্বৃত্তদের মধ্যে তিনি ছিলিমপুর এলাকার আব্দুল আউয়াল, বজলুর রহমান খান ও তার ছেলে সাইদ খানকে চিনতে পেরেছেন। এ ঘটনায় তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দুয়া থানায় মামলার দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার জেলা শহরে কর্মরত সাংবাদিকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুল আউয়ালের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। আর অন্যদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।