নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন আইন বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনগুলোর দেয়া প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।
বুধবার বিকেলে, রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনগুলোর দেয়া প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নের পথে যাবে সরকার। এর জন্য বাস্তবায়ন নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছার ওপর।
সংস্কার কীভাবে হবে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সব সংস্কারের বিষয়ে সরকারের ঐকমত্য হবে, ততটুকুই বাস্তবায়ন করা হবে।
এ সময় পরিবেশ ও বন এবং জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত চারটি কমিশনের প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসেছে। ছয়টি কমিশনের কাজের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হবে। কমিশন প্রধানরা এক মাস চেয়ে নিয়েছেন। তারা প্রধান প্রধান বিষয়গুলো গুরুত্ব দেবেন।
তিনি আরও বলেন, সব রাজনৈতিক দল তাদের মতামত দিয়েছে। লিখিত মতামত দিয়েছে। কমিশন যতটুকু মনে করেছে তা নিয়েছে। তাদের রিপোর্ট এবং সামারি দিয়েছে। এই সামারিগুলো আপনাদের জন্য আজকেই এভেইল এবল করে দেওয়া হবে। কমিশনগুলো তাদের ওয়েবসাইটে এভেইল এবল করে দেবে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, যে রিপোর্টগুলো আমাদের কাছে এসেছে সেই কমিশনের প্রধানেরা স্বাধীনভাবে কাজ করেছে। এখন কমিশন প্রধানরা সেই রিপোর্টগুলো নিয়ে বসবে। বসে এখান থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, কোথায় কোথাও তাদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত, তারা ঠিক করবে।
ব্রিফিংয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন তিনি। উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, বিচারের কার্যক্রম অত্যন্ত সাবলীলভাবে চলছে। মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারের শুনানি শুরু হবে। জুলাই-আগস্টের হত্যার বিচার করতে না পারলে আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।
আইন উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্টের হত্যার বিচার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার, মার্চ মাস থেকে শুনানি শুরু হবে ট্রাইব্যুনালে। বিচার করতে না পারলে আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। যত দ্রুত সম্ভব বিচার করব। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ সুবিচার নিশ্চিত করা। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের চাইতে এ সরকারের বিচার যে ভিন্ন, আমরা তা প্রমাণ করতে চাই।