বুধবার , ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রতিবেদক
Newsdesk
এপ্রিল ২৩, ২০২৫ ৫:২৪ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সৎ মা নিশি ইসলামের দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বুধবার (২৩ এপ্রিল) আদালত সূত্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তথ্য জানা গেছে।

গত ১৩ মার্চ শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলায় দায়ের করেন। আসামিদেরকে ২২ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন—ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, মেহের আফরোজ শাওনের ভাই মাহিন, বোন শিঞ্জন ও সেঁজুতি, সাব্বির, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন।

তাদের মধ্যে পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপ-পরিদর্শক শাহ আলম মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। অপর ১০ আসামি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মোহাম্মদ আলী আগের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ও প্রতারণা করে ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে নিশি ইসলামকে বিয়ে করেন। পরে নিশি জানতে পারেন, মোহাম্মদ আলী আগেই বিয়ে করেছেন। তার আগের সংসারে একটি ছেলে ও তিনটি কন্যা সন্তান আছে।

পরে ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে এসে বিয়ের কথা গোপন রাখার জন্য চাপ দেন। ৪ মার্চ মোহাম্মদ আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। তখন মোহাম্মদ আলীর আগের স্ত্রীকে দেখে প্রতারণার বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পান বাদী। এ সময় অন্য আসামিরা তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেন। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাওন বাদীকে মারধর করা হয়। তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যান। ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেন পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানে শাওনসহ অন্য আসামিরা নিশিকে মারধর করেন। এ সময় ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।

সর্বশেষ - জেলার খবর

আপনার জন্য নির্বাচিত