নড়াইল প্রতিনিধি :
দেশবাসীর সামনে নতুন একটি শক্তির উত্থান ঘটানোর সুযোগ এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই— আপনারা, আমরা মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশটাকে গড়ে তুলব। আমরা চাই, আগামীর বাংলাদেশে নতুন করে যেন কোনো স্বৈরাচার না হতে পারে। আগামীর বাংলাদেশে কথা বলার অধিকার থাকবে, কোনো দুর্নীতি থাকবে না, কোনো বৈষম্য থাকবে না।’
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকালে নড়াইল জেলা শহরের মুক্তমঞ্চ এলাকায় এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের স্বপ্ন ছিল— দলমত নির্বিশেষে আমরা এই দেশটাকে গড়ে তুলব। দল গড়ার লক্ষ্য ছিল না আমাদের, লক্ষ্য ছিল দেশটাকে পুনর্গঠন করা। বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা যদি দেশ পুনর্গঠন সম্ভব হতো, তাহলে আমাদের দল গঠনের প্রয়োজনই হতো না। কিন্তু আমরা আস্থা রাখতে পারি নাই।’
অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একটা গণঅভ্যুত্থানকে তারা গণঅভ্যুত্থান হিসেবে মনে করতে চায় না। তারা মনে করে ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। কিন্তু আমরা মনে করি দেশ পুনর্গঠনের জন্য, একটি সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্যই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল।’
এক বছরেও সেই আকাঙ্ক্ষিত, প্রত্যাশিত বাংলাদেশ পাওয়া যায়নি অভিযোগ করে উপস্থিত জনগণের উদ্দেশ্যে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘ফলে আমরা রাস্তায় নেমেছি আবার। আমরা চাই গণঅভ্যুত্থানের সময় যে আস্থা রেখেছিলেন আমাদের ওপর আবারও আস্থা রাখুন। গত ৫৪ বছরের বাংলাদেশ আমরা দেখেছি, গত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট আমলের বাংলাদেশ আমরা দেখেছি, সব রাজনৈতিক দলগুলোকেও দেখেছি।’
যদি আস্থা রাখেন পুরো বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করব এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর আমরা বলেছি— গণহত্যার বিচার, দেশের মৌলিক সংস্কার, নতুন সংবিধান লাগবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই দাবির কোনোটি আদায় করতে পারিনি।’
সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল বিচার-সংস্কার ও নতুন সংবিধানের চেয়ে নির্বাচন নিয়ে তাদের তড়িঘড়ি বেশি বলে মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, নির্বাচন আমরাও চাই। তবে বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’