শুক্রবার , ১ আগস্ট ২০২৫ | ১৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

চোরের টাকা খেয়ে ডাকাতের হাতে গাড়ি বুঝে দিলো খোকসা থানা প্রশাসন

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ১, ২০২৫ ৬:৫২ অপরাহ্ণ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

এ যেনো চোরের ওপর ডাকাতি। গাড়ি চুরির অপরাধে সন্দেহভাজন চোরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চোরাই গাড়ি আবার চোরকেই বুঝিয়ে দিয়েছে কুষ্টিয়ার খোকসা থানা। মাঝখানে চোরের কাছ উৎকোচ নিয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। যদিও খোকসা থানা প্রশাসনের যে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তিনি পুরোপুরি না স্বীকার করেছেন। তবে চোরাই গাড়ি মূল মালিককে না দিয়ে কেনো উল্টো চোরকেই বুঝে দেয়া হলো তার কোন উত্তর মেলেনি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের একটি চোরাই বাটা হাম্বার (শ‍্যালো ইন্জিনচালিত বড় গাড়ি) অবশেষে চোর চক্রের হাতেই ফিরে যাওয়ায় মূল মালিকসহ এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, প্রায় চার মাস আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোকসা থানা পুলিশ শোমসপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের ওসমানের পুত্র হাসানের বাড়ি থেকে চোরাই গাড়িটি উদ্ধার করে। মালিকবিহীন অবস্থায় গাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে খোকসা থানা চত্বরে পড়ে ছিল। অভিযোগ রয়েছে, ২৯ জুলাই গভীর রাতে গাড়িটি মাত্র ৪৫,০০০ টাকা রফাদফায় এসআই তারিকুল ইসলামের মধ্যস্থতায় এবং খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে রঘুনাথপুর গ্রামের মঞ্জিল মণ্ডলের ছেলে লালটু গাড়িটি নিয়ে যান। উল্লেখ্য, মঞ্জিল চোরাই গাড়ির মূল আসামি হাসানের চাচা এবং লালটু তার চাচাতো ভাই।

স্থানীয়দের দাবি, হাসান ওই গাড়িটি চুরি করে এনে তার চাচা মঞ্জিলের কাছে ৫০,০০০ টাকায় বিক্রি করেছিল। বর্তমানে হাসান অন্য একটি মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন। আর এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ডাকাতি, চুরি করে বেড়ায় । এমনকি বৃহত্তর কুষ্টিয়ায় অনেকগুলি খুনের ঘটনায় ভাডাটে হিসেবে কাজ করেছে। বছরজুড়েইএই চোর-ডাকাতচক্রের কেউ না কেউ জেলে থাকে। বের হয়ে আবার অপরাধ সংঘটিত করে।

বিএনপির স্থানীয় নেতৃত্ব বলছে, গাড়িটি থানায় থেকে নিজ দখলে নিতে লালটু ও তার সহযোগীরা রঘুনাথপুরের সাবেক মহিলা মেম্বার নাসিমা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে থানা চত্বরে দফায় দফায় দেন-দরবার করেছে। প্রথমদিকে বিএনপির নেতাদের কাছে কেউ কেউ মীমাংসার জন‍্য এলেও তারা অরাধীচক্রের নাম শুনে সোজা থানায় যোগাযোগ করতে বলে। প্রশ্ন উঠেছে—চার মাস ধরে যে গাড়িটি থানা হেফাজতে ছিল, সেটি কীভাবে ও কেন এমন গোপন রফাদফার মাধ্যমে চোরচক্রের হাতে তুলে দেওয়া হলো? স্থানীয় জনগণ এবং সচেতন মহলের দাবি, বিষয়টি স্বচ্ছ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এ ব‍্যাপারে পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন রাজনীতিক মহল।

সর্বশেষ - রাজনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত