বুধবার , ৬ আগস্ট ২০২৫ | ২৩শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

নওগাঁয় ট্রিপল হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ৬, ২০২৫ ১০:২০ অপরাহ্ণ

নওগাঁ প্রতিনিধি :

নওগাঁর পোরশায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দায়ের করা ট্রিপল হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ মামলার আরও আটজন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা এবং চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে নওগাঁ অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালত এবং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পোরশা উপজেলার কালাইবাড়ি গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (পলাতক), সাজেমান আলীর ছেলে আমির আলী ও হাসেন আলীর ছেলে আব্দুল কাদির ওরফে কাদের।

মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে দুরুল হুদা (পলাতক), ফজলুর রহমানের ছেলে আলিম ওরফে আলম, ইসমাইল হোসেনের ছেলে আবুল কাশেম এবং ফজলুর রহমানের ছেলে ওয়াজেদ আলী। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া আব্দুস সামাদের ছেলে তরিকুল ইসলাম, ফজলুর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম ও আবুল কালামকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায়ে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মোসা. মরিয়ম বিবি, কামেলা বেগম, কহিনুর বেগম ও রফিকুল ইসলাম।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৩০ আগস্ট পোরশা উপজেলার কালাইবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ তার আমবাগানে কাজ করছিলেন। সকাল ৭টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন ব্যক্তি ওই আমবাগানে গিয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টা করেন এবং কিছু আমগাছ উপড়ে ফেলেন। এ সময় আব্দুস সামাদের স্ত্রী, ছেলে, ভাই ও বোনেরা বাধা দিতে গেলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই কয়েকজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রথমে তিনজনকে এবং পরে আরও পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুস সামাদের ভাই শফিকুল, বোন সেলিনা এবং মেয়ে নার্গিসের মৃত্যু হয়।

ঘটনার দিন (৩০ আগস্ট ২০০৩) আব্দুস সামাদ পোরশা থানায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ২২ বছর পর, ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও প্রমাণ শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সাব্বির আহমেদ সন্তোষ প্রকাশ করেন।

অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী তাজরিন নাহার জানান, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

 

 

 

সর্বশেষ - রাজনীতি