নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ পতনের পর আরেকটি গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি বিএনপিকে টার্গেট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত শেষে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণকালে তিনি এ অভিযোগ করেন। আরাফত রহমান কোকোর ৫৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ”৫ আগস্টের পর নানা বক্তব্য বিবৃতিতে আমাদের মনে হয়েছে, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে টার্গেট করেছে আরেকটা গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি। তারা নানাভাবে, বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ধর্মের নামে এই সমস্ত কাজ করছে। সামনে যে নির্বাচন, সেই নির্বাচন বিতর্কিত করার জন্য তারা ষড়যন্ত্রের লিপ্ত আছে।’’
তিনি বলেন, ”পরাজিত ফ্যাসিবাদের দোসরা দেশে নেই। তারা পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে তাদের কালো টাকা এবং অবৈধ অস্ত্রের জোরে নানাভাবে কাজ করছে। গণতান্ত্রিক শক্তি কোনো কর্মসূচি দিলেই তারা অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে ষড়যন্ত্র করছে। চট্টগ্রামে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, রক্তাক্ত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও গোটা জাতি প্রত্যাশা করছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন।’’
রিজভী বলেন, ”নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এবং সিডিউল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, মনে হচ্ছে এই নির্বাচন নিয়েও অনেকেই নানা ধরনের কুট কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।’’
রিজভী বলেন, ‘’আমরা একটি আদর্শের জন্য লড়েছি আর এই আদর্শ কায়েম করার জন্য আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপসহীন লড়াই করেছেন, জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছেন, নেতাকর্মীদেরকে আত্মদানে উদ্বুদ্ধ করেছেন। আমাদের ডানে-বামে সামনে-পেছনে কে প্রভু আছে সেটা আমরা দেখিনি। আমরা চেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন থাক, আমাদের সার্বভৌমত্ব টিকে থাক।’’
‘‘এই কারণেই ছাত্র জনতার উত্তাল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। এরপরে আমরা দেখছি নানা ধরনের কথা-বার্তা বলে ফ্যাসিবাদকে কায়েম করার জন্য নানা ধরনের সুরসুরি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে’’— বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘‘আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহিদ হয়েছে আরাফাত রহমান কোকো। শেখ হাসিনার সরকারের অত্যাচারের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’’
এ সময় উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইয়েদুল আলম বাবুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।