নিজস্ব প্রতিবেদক :
শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনেই নয় ইংরেজ দুঃশানের শৃঙ্খল ভেঙে মানুষকে মুক্তির স্বাদ পেতে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মানুষের অবদান অনস্বীকার্য। এখনও দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে অহর্নিশ কাজ করে যাচ্ছে সর্বস্তরের জনগণ। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে বদ্ধপরিকর বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরামের নেতৃবৃন্দ। এই এলাকার সামাজিক অর্থনৈতিক তথা সার্বিক কল্যাণে গঠিত বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরামের ২০২৫ -২০২৬ সালের নবনির্বাচিত উপদেষ্টা ও কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে এসব বলেন উপস্থিতিরা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ জাতীয় আর্কাইভস মিলনায়তনে বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরামের ২০২৫ -২০২৬ সালের নবনির্বাচিত উপদেষ্টা ও কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকা মূলত কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা এই তিনটি জেলার অফিসারদের নিয়ে গঠিত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ মো. আসাদুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার রাশেদুল হক, প্রধান উপদেষ্টা, বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. মহিউদ্দিন (শহীদ ইয়ামিন এর বাবা)। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহঃ মনিরুজ্জামান, মহাসচিব, বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ও অতিরিক্ত সচিব (গ্রেড-১, পিআরএল)। বাংলাদেশের ভূমি জটিলতা নিরসনে অত্যধুনিক সব পদ্ধতি আবিষ্কারের পদক্ষেপ নিয়ে ইতোমধ্যে যারপরনাই প্রশংসা কুড়িয়েছেন মহ. মনিরুজ্জামান।
এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরামের সভাপতি ও কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম,ঢাকাস্থ মেহেরপুর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা সমিতির সভাপতিসহ আরো অনেক বিশিষ্টজনরা সভায় বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, পদ্মা পাড়ের জেলা কুষ্টিয়া। পদ্মা-গড়াইয়ের তীরে অবস্থিত বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা অবহেলিত এবং পিছিয়ে পড়া এলাকা। এ এলাকা উন্নয়নের জন্য বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফির্সাস কল্যাণ ফোরামসহ অন্যান্য এ্যাসোসিয়েশন সম্মিলিতভাবে জোরালো ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। ২৪ এর শহীদ এবং যোদ্ধারা যে উদ্দেশ্যে তাদের জীবন, রক্ত ও অঙ্গ কুরবানী করেছেন, তা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের শপথ নিতে হবে। এই অভিষেক অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য এবং অনুষ্ঠানের অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরামের উদ্দেশ্য বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও কল্যাণমূলক সংগঠন, যা কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত। ভ্রাতৃত্ব ও নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করা—বৃহত্তর কুষ্টিয়ার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সুসম্পর্ক গড়ে তোলা, কল্যাণ ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা—সদস্য ও তাঁদের পরিবারের জন্য সহায়তা ও সুযোগ তৈরি করা,সামাজিক দায়বদ্ধতা ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করা—শিক্ষা, সংস্কৃতি, মানবিক ও কল্যাণমূলক কার্যক্রমে অবদান রাখা, কৃতি সদস্যদের সম্মাননা প্রদান ও পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করা, এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সামাজিক সেতুবন্ধন রচনা—যাতে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ প্রতিফলিত হয়।
ফোরাম বিশ্বাস করে যে ঐক্য, সহযোগিতা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার কর্মকর্তারা জাতীয় পর্যায়ে পেশাগত উৎকর্ষতা ও সামাজিক কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত কর কমিশনার ও অভিষেক প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক সনজিৎ কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব (পিআর এল) ডক্টর আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সচিব কাজী আখতার হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।