নিজস্ব প্রতিবেদক :
খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় লিটারে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে ডালের দামও। গত সপ্তাহের তুলনায় নিত্যপণ্যটি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানী কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ব্র্যান্ডভেদে ৩৮০-৩৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা সাত দিন আগেও ৩৭৫-৩৮০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে পাম তেলের দামও। লিটারপ্রতি পাম তেল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। যা আগে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সঙ্গে মাঝারি দানার প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। যা সাত দিন আগে সর্বনিম্ন ১১০ টাকায় পাওয়া গেছে।
এছাড়া ছোট দানার প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ১৫০-১৬০ টাকা। যা এক মাস আগেও ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে মাসের ব্যবধানে এই পণ্যের দাম সর্বোচ্চ কেজিপ্রতি ২০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে। বড় দানার মসুর ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা।
রাজধানীর কাওরান বাজারে মুদি পণ্য কিনতে আসা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘মিডিয়ায় দেখেছি তেল কোম্পানিগুলো দাম বাড়াতে সরকারের কাছে আবেদন করেছে। কিন্তু সরকার দাম বাড়ায়নি। অথচ দোকানে এসে দেখি বিক্রেতারা তেলের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। সঙ্গে ডালের দামও বাড়ছে হু হু করে। দেখার যেন কেউ নেই।’
আরিফুর রহমান নামে আরেক ভোক্তা বলেন, ‘আমাদের দেশে সব সময় ঘোষণার আগে ব্যবসায়ীরা সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেয়। সরকার ঘোষণা দিলেও তারা দাম বাড়ায়। ঘোষণা না দিলেও আলোচনায় থাকা অবস্থায় দাম বাড়িয়ে দেয়। এই যে সরকারের সাথে তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হলো। অথচ, সরকার দাম বাড়ায়নি এখনো। কিন্তু বাজারে আমাদের সাধারণ ভোক্তাদের জিম্মি করে ঠিকই দাম বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে। তাহলে ব্যবসায়ীরা সরকারের চেয়ে বড়। তাদের নিয়ন্ত্রণ করার মতো ক্ষমতা সরকারের নেই।’
ভোজ্যতেল ও ডালের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় অনেক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংস্থাগুলোর ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন। সাধারণ ভোক্তাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের জিম্মি করে সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে।