রবিবার , ১২ অক্টোবর ২০২৫ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

পলাতক ব্লগাররা জোটবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে

প্রতিবেদক
Newsdesk
অক্টোবর ১২, ২০২৫ ৬:৪৩ অপরাহ্ণ

# নিউ ইয়র্কে তৈরী হয়েছে ইয়াহিয়া টু ইউনূস প্রামাণ্যচিত্র

# তসলিমার সাথে যোগ দিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মী শিউলী

বিশেষ প্রতিনিধি : 

বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন রাজনীতিক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অসংখ্য মানুষ। তাদের কেউ কেউ বিদেশে অবস্থান করে বর্তমান ইনটেরিম সরকারের সমালোচনায় মুখর। দেশে কথা বলার পরিবেশ নেই, প্রতিক্ষণে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, খর্ব হচ্ছে নারীর অধিকার, খুন হচ্ছে অসংখ্য মানুষ এমন অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন। মব জাস্টিসের নামে বাংলাদেশের শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যার-তার ওপর হামলা চলছে, মিথ্যা মামলার নামে রাজনৈতিক নেতাদের বাণিজ্য চলছে-এমন অভিযোগ করে ফেসবুক, ইউটিউব, সভা-সেমিনার ও সমাবেশে সোচ্চার হয়েছেন তারা। এমনকি ক’দিন আগে জাতিসংঘের সামনে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অবস্থান করা হোটেলের সামনে যাচ্ছেতাইভাবে মিছিল মিটিং করেন এসব লোকজন। এদের অন্যতম গণমাধ্যমকর্মী শিউলী সিকদার। ঢাকার জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র ভিডিও এডিটর ছিলেন তিনি। মিসেস সিকদার এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে শিউলী সিকদার নিউ ইয়র্কের হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদসহ একাধিক ফোরামে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরণের প্রামাণ্যচিত্র তৈরী করছেন। এমনকি এসব ডকুমেন্টারি আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটে প্রদর্শনও করে বেড়াচ্ছেন।

আমাদের একাধিক সংবাদদাতা নিশ্চিত হয়েছেন যে, শিউলী সিকদার বর্তমানে নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন। সেখানে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের হয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরী করেছেন। ইতোমধ্যে এটি বেশ আলোচিত হয়েছে এবং নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ‘ইয়াহিয়া টু ইউনুস’ শিরোনামে তৈরী করা ঐ ডকুমেন্টারিতে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী নিধন হয়েছে বহুমাত্রিক ধরণে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ-ইউএসএ ঐ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটে বসবাস করা বাংলাদেশী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এখনও তুলে ধরা হচ্ছে ঐ প্রামাণ্যচিত্র-এমন অভিযোগ মিলেছে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে দেশটির হালফিল চিত্র তুলে ধরে বর্তমান সময়কে অত্যন্ত নাজুক ও সর্বস্তরে মানবাধিকার হরণ হচ্ছে বলে দাবি করছেন প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতারা। ন্যুনতম কথা বলার কোন স্বাধীনতা মানুষের নেই এমন দাবি করে সময়টিকে মানবাধিকার চর্চার পরিপন্থি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে ঐ প্রামাণ্যচিত্রে। এটি নির্মাণের অন্যতম কুশলী ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী শিউলী সিকদার। সহকারি নির্দেশক ও ভিডিও সম্পাদক হিসেবে প্রামাণ্যচিত্রের শেষে (এনডিং স্ক্রল) তাঁর নাম এখনও শোভা পাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে অধিকার হারিয়েছেন, হত্যা-হামলার শিকার হচ্ছেন তার বর্ণনা রয়েছে ডকুমেন্টারির পরতে পরতে। ঐ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত ইসলামবিদ্বেষী বিতর্কিত লেখিকা ও মোস্ট ওয়ান্টেড আসামী তসলিমা নাসরীন। যিনি বাংলাদেশের ওলামা মাশায়েখদের কাছে যারপরনাই নিন্দিত ও ঘৃণিত। যার মাথার দাম নির্ধারণ করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পোস্টার,ব্যানার,ফেস্টুন লাগিয়ে ছিলেন ওলামা মাশায়েখ ও ইসলামী বিপ্লবে বিশ্বাসী বিভিন্ন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তসলিমা নাসরীনের বিরুদ্ধে এখনও মিছিল মিটিং অব্যাহত রেখেছেন বাংলাদেশের আপামর মুসলিম। নিউ ইয়র্কের অনুষ্ঠানের লাইভ চলাকালে ঘৃণিত তসলিমা নাসরিনের পাশে মিসেস সিকদারকে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গেছে। কিছু ছবিও আমাদের সংবাদদাতারা হাতে পেয়েছেন।

আমাদের একাধিক প্রতিবেদক খোঁজ নিয়ে আরও জেনেছেন যে, ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত একুশে টিভির পর্দায় সপ্তাহান্তে একটি অনুষ্ঠান প্রচার হতো। নাম ছিল ‘সুরতহাল’এবং ‘দ্য পোস্টমর্টেম’। সমাজের অসংগতি, রাজনৈতিক দুর্নীতির বিষয়ে এসব অনুষ্ঠান নির্মাণ হলেও উদ্দেশ্য ছিলো ভিন্ন। স্যাটায়ারে ভরপুর এসব অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য এতোদিন উন্মোচিত না হলেও এখন তা বেশ স্পষ্ট। কায়দা কৌশল করে তারা নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বন্দনায় ব্যস্ত ছিল। সমালোচনার পরিবর্তে একপেশে বক্তব্যে আক্রমণ করা হতো ইসলামী দলকে। কার্টুনের মাধ্যমে নেতাদের চেহারা বিকৃত করে সম্মানহানির চেষ্টা চলতো। কখনও কখনও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব তথা ইসলামী বুজুর্গ এবং হেফাজতিদের কটাক্ষ চলতো। এ দুটি অনুষ্ঠানের কলাকুশলীদের অন্যতম ছিলেন ব্রডকাস্ট সাংবাদিক শিউলী সিকদার। এর নেপথ্যের অন্যতম পরিচালকই শুধু ছিলেন না বিভিন্ন এপিসোডে তিনি অভিনয়ও করেছেন। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লবের তৎপরতা বৃদ্ধির পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। কেউ কেউ অবশ্য বলেছেন, একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত ঐ অনুষ্ঠানগুলোর নির্দিষ্ট প্রযোজক থাকতেও মূলত মিসেস সিকদারের তত্ত্বাবধানে তা প্রচার ও প্রসার পেয়েছিল।

অনুসন্ধানে জানা যায়, একুশে টেলিভিশন যখন ‘সুরতহাল’ও ‘দ্য পোস্টমর্টেম’ অনুষ্ঠান প্রচার করতো তখন তাতে বিএনপি-জামাত জোটের নেতা ও হেফাজতিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরা হতো। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধেও অপবাদ রটনা হতো। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, ব্যর্থতার কোনো সমালোচনা সেখানে শোভা পেতো না। হেফাজতে ইসলাম, জামায়াতে ইসলামসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ছায়া চরিত্র স্যাটায়ারের মাধ্যমে টিভি পর্দায় তুলে ধরে ব্যক্তিবিশেষকে কালপ্রিট প্রমাণের চেষ্টা হতো। এমনকি দুটি রাজনৈতিক দলের কিছু নেতার চরিত্রের সাথে মিল রেখে অনুরূপ চরিত্র নাট্যাকারে তুলে ধরা হতো টিভি অনুষ্ঠানে। বলা হতো, এসব চিত্রায়ণের মধ্য দিয়ে সমাজের অসঙ্গতি দূর করা হচ্ছে। কিন্তু সবাই বুঝতেন, তাদের চরিত্রচিত্রণে গুটিকতক মানুষকে হেয় করা তথা নেতা ও ব্যবসায়ীদের অজনপ্রিয় করা হচ্ছে। ভিডিও এডিটর শিউলী সিকদারের বিরুদ্ধে তখনই এসব অভিযোগ তুলেছিলেন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র প্রোডিওসার গোলাম রনি, মাসুদ কোরেশিসহ অন্যরা। একুশে টেলিভিশনের সাবেক কর্মী সবুজ ইসলাম ও আল আমিন দুর্জয় জানান, বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি বহু বছরের পুরনো। ধর্মীয় সহিংসতা ছিল না বললেই চলে। অথচ বিভিন্ন সময়ে ইসলামী মৌলবাদীরা দেশকে তালিবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়-এমন বার্তা ঐ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতো। এমনকি বিএনপি-জামাত জোট দেশকে আফগানিস্তানের ভাবধারায় নিতে চায়-এসব বলেও মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো হতো।
বাস্তবে আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক ব্যর্থতা বিদ্যমান থাকলেও সেসব সতর্কভাবে গোপন করা হতো সুরতহাল এবং দা পোস্টমর্টেম অনুষ্ঠানে। হাসিনা সরকারের দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম ও অসংখ্য খুনের ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হতো। এসব নিয়ে শিউলী সিকদারের টিমের কোন মাথাব্যথা ছিল না। মূলত: সুরতহাল এবং দা পোস্টমর্টেম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিপ্লবীদের হেয় করাই ছিল নির্মাতা ও কলাকুশলীদের উদ্দেশ্য। মূলত: হাসি, রম্য ও ব্যাঙ্গাত্মক ঘটনার মধ্য দিয়ে একটি পক্ষকে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া ও অপরপক্ষকে সমাজের কাছে হিরো পরিগনিত করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপবাদ ছড়ানোও হয়েছিল এসব অনুষ্ঠান থেকে। কিন্তু সত্য হলো, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ, সহিষ্ণু ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী একটি দেশ। যেখানে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানবাধিকারের নামে মিসেস শিউলী সিকদার খৃষ্টান বৌদ্ধ ও হিন্দুদের মিছিল মিটিং-এ অংশ নিতেন। প্রতিবাদী কথা বলতেন এবং সভা সমাবেশের আয়োজন করতেন। সেখান থেকেই মূলত এমন অনুষ্ঠানের ধারণা পেতে পারেন তিনি। বিভিন্ন এপিসোডের মাধ্যমে ইসলামী বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার বাসনা জেগে উঠেছিল শিউলী সিকদারের মনে। এমন ধারণা দিয়েছেন গণমাধ্যমটির সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কিছু কর্মী। তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা শিউলী সিকদার বাংলাদেশের সুনাম ও ইসলাম ধর্মের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সেখান থেকেই যারপরনাই তৎপর। ইসলামের শত্রু ও বিপ্লবীদের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড আসামী লেখিকা তসলিমা নাসরিনের সাথেও তাকে নিউ ইয়র্কের রাস্তায়, রেস্তোরায় দেখেছেন বেশ কয়েকজন। এমনকি তসলিমা নাসরিনের সঙ্গে তাঁকে একই অনুষ্ঠানে প্রতিবাদী বক্তব্য দিতেও দেখা গেছে। এ বিষয়ে রিপোর্টও প্রচার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিতর্কিত এই লেখিকার সাথে জোটবদ্ধ হয়ে শিউলী সিকদার ইসলাম ও বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লবের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। এ ব্যাপারে আমরা একাধিক ইমেইল পাঠিয়ে তার কোনো বক্তব্য নিতে পারিনি। এমনকি তার ফোন নম্বরে কল ও মেসেজ পাঠিয়ে সাক্ষাতকার গ্রহনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।

সর্বশেষ - রাজনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত

উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবা স্বাভাবিক: শামসুজ্জামান দুদু

বে টার্মিনালের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের ৬৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন

সীমান্তের পরিস্থিতি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত : পররাষ্ট্র সচিব

রমজানে ৩০ স্থানে ৬০০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস

নির্বাচিত সংসদের হাতে সংস্কার কার্যক্রম ছেড়ে দেব না: নাহিদ

অক্টোবরে ৪০৫ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৩৭৭

ডিএমপির আদেশ স্থগিত, আসামি গ্রেপ্তারে লাগবে না অনুমতি

পলিটেকনিকের ক্র্যাফট ইন্সট্রাক্টরদের গ্রেড বৈষম্য দূর করার দাবি

তিন দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে, বাড়ছে শীতের তীব্রতা

৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শহীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ