নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) কর্মকর্তা ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী নুরুল হুদা ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বীরদর্পে দীর্ঘ ১৭ বছর পেরিয়ে এখনও বহাল তবিয়তে । তবে তদন্তে উঠে এসেছে তার নিয়োগে গুরুতর জালিয়াতির ঘটনা। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দাবি করেছে, তিনি ওই সনদের ভিত্তিতেই চাকরির সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন।
সূত্রে জানা যায়, নুরুল হুদা ভূঁইয়ার প্রভাব এতটাই বিস্তৃত যে বিসিএসআইআরের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নিম্নস্তরের অনেক কর্মচারীও তার প্রতি ভীতি অনুভব করেন। তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও তিনি অস্বাভাবিক হস্তক্ষেপ করেন। নুরুল হুদা ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটাতে বিসিএসআইআর- এ যোগদান করেন । জুনিয়র হয়েও বিসিএসআইআর আরসি পদে দায়িত্ব পালন করছেন, কেনাকাটার সহ বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত থেকে বিসিএসআইআর এ বৈষম্য তৈরি করছেন।

বিসিএসআইআরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হননি। অভিযোগটি যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তবে এটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ–বিধি ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থার অপব্যবহার সংক্রান্ত গুরুতর অনিয়ম হিসেবে গণ্য হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অভিযোগের ক্ষেত্রে সরকারি পরিসরে সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন, যাতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার মর্যাদা রক্ষা পায় এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সুশাসন নিশ্চিত হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিএসআইআর গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মোঃ নুরুল হুদা ভূঁইয়া জানান, সব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমার বাবা প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ।


















