আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
এশিয়ায় চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির আঘাতের পর ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশ মিয়ানমার। ইতিমধ্যে দেশটিতে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং দুই লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোও রয়েছে। খবর বিবিসি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ি, ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিদেশী সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ইতিমধ্যে জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিদর্শন করেছেন।
এছাড়া মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় দৈনিক নিউ লাইট বলছে, বন্যায় গৃহহীনদের জন্য কিছু অস্থায়ী ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন লাখও মানুষ।
এদিকে মিয়ানমার নিহতের সংখ্যা ৩৩ জানালেও রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদনে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন সমর্থিত রেডিওটি বলছে বন্যা ও ভূমিধসে মিয়ানমারে অন্তত ১৬০ জন নিহত হয়েছে।
টাংগুর একজন উদ্ধারকর্মী শনিবার বিবিসি বার্মিজকে জানিয়েছেন, সিতাং নদীর পূর্ব তীরে বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ আটকা পড়েছে। উদ্ধারকর্মী বলেন, ‘আমাদের উদ্ধার করার জন্য পর্যাপ্ত নৌকা নেই।‘
জাতিসংঘের মতে, তিন বছরের গৃহযুদ্ধের কারণে মিয়ানমারে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং ২৬ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় (ওসিএইচএ) অনুসারে, দেশটিতে বর্তমানে প্রায় এক কোটি ৮৬ লাখ মানুষের জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে গেল চলমান বন্যায় এই মায়ানমারের হাজারও পরিবার বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশনের অভাবে রয়েছে এবং তারা মৌলিক চাহিদার সংকটের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস (আইসিআরসি)।