শনিবার , ১২ জুলাই ২০২৫ | ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

জ্বালানি সুইচ বন্ধ হওয়ায় বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ১২, ২০২৫ ৩:০৫ অপরাহ্ণ

আন্তজাতিক ডেস্ক :

গত মাসে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৭১-এর দুর্ঘটনার কারণ ছিল ইঞ্জিনে জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানিয়েছে ভারতের এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। খবর সিএনএন।

গত ১২ জুন ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি। গন্তব্য ছিল লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর। উড্ডয়নের পর মুহূর্তেই কাছের এক ভবনে আছড়ে পড়ে উড়োজাহাজটি। এতে বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য এবং ওই ভবনের কয়েকজনসহ মোট ২৬০ জন নিহত হন। একজন মাত্র যাত্রী দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যান।

প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, ককপিটে থাকা জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচগুলো ভুলবশত বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ফলে উভয় ইঞ্জিনে জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। উড়োজাহাজের ব্ল্যাক বক্স রেকর্ডার থেকে প্রাপ্ত ৪৯ ঘণ্টার ফ্লাইট ডেটা ও দুর্ঘটনার আগের ২ ঘণ্টার ককপিট অডিও বিশ্লেষণ করে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তদন্তকারীরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উড়োজাহাজটি যখন ১৮০ নট গতিবেগে ছিল, তখন মাত্র এক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুই ইঞ্জিনের জ্বালানির সুইচ ‘রান’ থেকে ‘ কাটঅফ’ অবস্থানে ঘোরানো হয়। অডিওতে শোনা যায়, এক পাইলট অন্যজনকে প্রশ্ন করছেন, ‘তুমি সুইচটা কেন বন্ধ করেছ?’ জবাবে অপর পাইলট বলেন, ‘আমি করিনি।’ সুইচগুলো দ্রুত পুনরায় ‘রান’ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হলেও ইঞ্জিন সম্পূর্ণভাবে সচল হওয়ার আগেই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়।

বোয়িং ৭৮৭ বিমানে জ্বালানি সুইচ দুটি দুই পাইলটের আসনের মাঝখানে থ্রটলের পেছনে থাকে। সুইচগুলোর পাশে ধাতব বার দিয়ে সুরক্ষা বেষ্টনী থাকে। অনিচ্ছাকৃতভাবে যেন এগুলোর অবস্থান পরিবর্তন না করা যায়, সে কারণে লকিং ব্যবস্থাও থাকে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই উড়োজাহাজের র‍্যাম এয়ার টারবাইন এক জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করে, যা ইঞ্জিন বিকলের ইঙ্গিত দেয়।

তদন্তে আরো বলা হয়েছে, এক পর্যায়ে পাইলটদের একজন রেডিওতে ‘মে ডে, মে ডে, মে ডে’ কল করেন। কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে উড়োজাহাজের কলসাইন জানার চেষ্টা করা হলেও কোনো জবাব মেলেনি। এরপরই বিমানটি দূরে বিধ্বস্ত হতে দেখা যায়।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ডেভিড সৌসি সিএনএনকে বলেন, এই জ্বালানি সুইচগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে সেগুলো অনিচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তন করা না যায়। এমনকি প্রযুক্তিগতভাবে এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘুরে সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, সবগুলো সুইচ একসঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়া একেবারেই বিরল ঘটনা।

বিমানের ক্যাপ্টেন ছিলেন ৫৬ বছর বয়সী এক অভিজ্ঞ পাইলট, যার ১৫ হাজার ঘণ্টারও বেশি সময় উড়োজাহাজ উড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল। ফার্স্ট অফিসার ছিলেন ৩২ বছর বয়সী। তার ফ্লাইট আওয়ার ছিল ৩ হাজার ৪০০ ঘণ্টারও বেশি।

তদন্তকারীরা বলেন, উড়োজাহাজের ইঞ্জিন, ফ্ল্যাপ, ল্যান্ডিং গিয়ারসহ অন্য যন্ত্রপাতির সেটিং স্বাভাবিক ছিল। ফুয়েল নমুনা পরীক্ষা করে জ্বালানির মানও সন্তোষজনক পাওয়া গেছে। পাখির আঘাত বা কোনো “ডেঞ্জারাস গুডস” ছিল না উড়োজাহাজটিতে। এর ওজনও গ্রহণযোগ্য সীমার মধ্যে ছিল।

 

 

 

 

 

 

 

 

সর্বশেষ - রাজনীতি