আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানি নাগরিক, শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের স্মরণে রাজধানী তেহরানে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় জানাজা ও শোকমিছিলে অংশ নিয়েছেন লাখো মানুষ। স্থানীয় সময় শনিবার (২৮ জুন) সকালে ৮টায় তেহরানের ইঙ্গেলাব স্কয়ারে শুরু হয় এই শোকানুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ জানিয়েছে, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি), পরমাণু বিজ্ঞানী, ও সাধারণ নাগরিকসহ প্রায় ৬০ জন নিহত ব্যক্তির মরদেহ নিয়ে এই শেষ শ্রদ্ধার আয়োজন করা হয়। জানাজা শেষে শোকমিছিল ইঙ্গেলাব স্কয়ার থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আজাদি স্কয়ার পর্যন্ত যায়। পুরো পথে শোকাহত জনতা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেন।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল বিনা উসকানিতে ইরানের সামরিক, পরমাণু ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়। এই হামলায় ৬০০-এরও বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সেনা কমান্ডার, বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকরা।
ইরান দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ চালায়। যার অধীনে আইআরজিসি এয়ারোস্পেস ফোর্স ২২ দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের অধিকৃত অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়।
এছাড়া, ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় অংশ নেয়। সেই হামলায় নাতাঞ্জ, ইসফাহান ও ফোরদোতে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করা হয়। ইরান এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং আক্রমণের উদাহরণ বলে অভিহিত করেছে।
ইরানের সরকার নিহতদের ‘শহীদ’ হিসেবে শ্রদ্ধা জানিয়েছে এবং জনগণের বিপুল অংশগ্রহণ এই শোককে রূপ দিয়েছে জাতীয় প্রতিবাদে।