আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দক্ষিণ ও পশ্চিম সুদানে ভয়াবহ লড়াইয়ে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত এবং আরো ১৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে দেশটির সাউথ কর্দোফান প্রদেশের রাজধানী কাদুগলিতে কামানের গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
কাঁচাবাজারে হামলা ও সংঘাতের ঘটনায় কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত হয়েছেন উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে। আহত হয়েছেন আরো ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ। দেশটির দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
বলা হয়েছে, দক্ষিণ ও পশ্চিম সুদানে ভয়াবহ লড়াইয়ে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত এবং আরো ১৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে দেশটির সাউথ কর্দোফান প্রদেশের রাজধানী কাদুগলিতে কামানের গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সুদানের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এই শহরে আক্রমণের ঘটনায় আবদেল আজিজ আল-হিলুর নেতৃত্বাধীন সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ (এসপিএলএম-এন) এর একটি দলকে দায়ী করেছেন গভর্নর মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
তিনি এএফপিকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, কাদুগলিতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হিলুর হামলার উদ্দেশ্য হচ্ছে এলাকাটিকে অস্থিতিশীল করা। তিনি বিদ্রোহী বাহিনীর কবল থেকে কাদুগলির চারপাশের পাহাড়গুলো `সাফ’ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
গভর্নর বলেছেন, স্থানীয় একটি বাজারকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণের এই ঘটনা ঘটেছে। এসপিএলএম-এন তাদের যুদ্ধের সময় সাউথ কর্দোফানের বিভিন্ন অংশে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) উভয়ের সঙ্গেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সুদান ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সংঘাতে জর্জরিত হয়েছে, তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালায় সামরিক বিমান হামলায় সোমবার ২৫ জন নিহত এবং আরো ৬৩ জন আহত হয়েছেন বলে একটি মেডিকেল সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে।
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি এএফপিকে জানিয়েছে, আরএসএফের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা নিয়ালায় হামলাটি হয়। উত্তর দারফুরের অবরুদ্ধ রাজধানী এল-ফাশার থেকে ১৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নিয়ালাসহ দারফুরের বেশিরভাগ অংশে আরএসএফের আধিপত্য রয়েছে।
এছাড়া, এল-ফাশার অঞ্চলটিতে প্রায় ২০ লাখ মানুষের বাস, যারা গত বছরের মে মাস থেকে আরএসএফের অবরোধের মধ্যে আছেন।
এর আগে গত শনিবার বৃহত্তর খার্তুমের অংশ সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ওমদুরমানের একটি ব্যস্ত বাজারে আরএসএফ গোলাবর্ষণ করলে কমপক্ষে ৬০ জন নিহত এবং আরো ১৫০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছিলেন।