নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের জনগণের প্রতি ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছে, কাকে ভোট দিতে যাবেন? হয় সরকারি দলের প্রার্থী, না হয় ডামি, না হয় তাদের অনুগত প্রার্থী। এ কারণে দেশবাসীকে বলবো আপনারা এই অবৈধ ভোট বর্জন করুন, ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এ অন্যায়ের শরিক হবেন না, ডাকাতি ঠেকাতে না পারলেও, ডাকাতের সঙ্গে তাল মেলাবেন না।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোট বর্জন, খালেদা জিয়া সহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ড্যাব আয়োজিত মানববন্ধনে নজরুল ইসলাম খান এ আহ্বান জানান। পরে প্রেসক্লাবের সামনে ‘ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের’ পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন।
ড্যাবের প্রেসিডেন্ট হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে মহাসচিব ড. আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. শহিদ হাসান, ডা. খালেকুজ্জামান দিপু, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. মাহবুবুর রহমান, ডা. মাহমুদ মান্নান, ডা. মশিউর রহমান কাজল, ডা. জহিরুল ইসলাম সাকি, ডা. মঈনুল হক মিতুল, শফিকুল ইসলাম মাসুম, ডা. রুস্তম আলী মধু প্রমুখ।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ৭ জানুয়ারি যা ঘটতে যাচ্ছে, সেটা যদি নির্বাচন হতো, তবে সেখানে অংশ নেয়া, না যাওয়ার প্রশ্ন আসতো। কিন্তু ৭ তারিখ যা ঘটতে যাচ্ছে সেখানে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। সবাই আমি ডামি ও আমার লোক, এদের মধ্যে যে নির্বাচনী খেলা এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। এ জন্য হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে, লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হবে, বিরোধী নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়া হবে, এ কারণেই আমরা এই ভোট বর্জন করেছি।
বাকশালের আমলে এমন নির্বাচনী পরিবেশ ছিল উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, দেশে বর্তমানে যে অরাজকতা, এ অবস্থা আর যাই হোক, গণতান্ত্রিক পরিবেশ হতে পারে না। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার বঞ্চিত করেছে, জনগণকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। এবারো জনগণকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা করছে। তিনি বলেন, যেখানে জনগণের জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের সুযোগ নেই এমন একটি নির্বাচনী খেলা জনগণ চায় না।
আমরা জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকারে রাজি আছি জানিয়ে বিএনপি এই নেতা বলেন, সরকার এতো পরিমাণ অত্যাচার অনাচার, লুটপাট করেছে, তারা ভয় পায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে। সে কারণে তারা যেকোনো ভাবে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, প্রহসনের নির্বাচনী খেলায় সরকার নির্বাচন করেও ফেলতে পারে। এতে কিছু যায় আসে না কারণ এ দেশের মানুষ তাদের সমর্থন দিবে না।