রবিবার , ২ নভেম্বর ২০২৫ | ১৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

একদল সংস্কার, আরেক দল নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চায়: নাহিদ

প্রতিবেদক
Newsdesk
নভেম্বর ২, ২০২৫ ১০:৩৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জামায়াতের কার্যক্রমে মনে হচ্ছে, তাদের নির্বাচন পেছনোর অভিসন্ধি বা দুরভিসন্ধি আছে। বিএনপি ও জামায়াত গণভোটের তারিখকেই মূল করে দিয়েছে। এক দল সংস্কারকে ভেস্তে দিচ্ছে, আরেক দল নির্বাচনকে পিছিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আমরা এর কোনোটাই চাই না। আমরা চাই, যথাসময়ে নির্বাচন হবে এবং জুলাই সনদও আইনি ভিত্তি পাবে। তাই, এই দুইটি দলসহ সব দলের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, তারা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে এক জায়গায় আসে। আমরা এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে চাই।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই সনদ আদেশ অবশ্যই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই জারি করতে হবে। রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে এটি হলে বিবেচিত হবে কফিনের শেষ পেরেক হিসেবে। কারণ, এ বিষয়ে তার আইনগত দিক নেই। জনগণ তা মেনে নেবে না। সরকার আদেশ জারি করলে ও ধারাগুলো নিশ্চিত হয়েই আমরা স্বাক্ষর করবো।

অনেকে জুলাই সনদ সই করে অনৈক্য সৃষ্টি করেছেন মন্তব্য করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। আমরা রাষ্ট্রের সংস্কার চাই। আমরা গণপরিষদ নির্বাচনের রূপরেখা দিয়েছি। কিন্তু অনেক দল এটি বুঝতে পারেনি। অনেকে জুলাই সনদ সই করে অনৈক্য সৃষ্টি করেছে। যারা সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আন্দোলন করলো, তাদের বাদ দিয়ে এভাবে সই করা জাতির সঙ্গে প্রতারণা।

তিনি মনে করেন, জুলাই সনদ সই করার সময় চলে গেলেও সরকার চাইলে এখনও আইনি ভিত্তি দেওয়া সম্ভব। গণভোট নির্বাচনের আগে-পরে করা নিয়ে জামায়াত ভুল রাজনীতি করছে। আবার বিএনপির কেউ কেউ এর বিপক্ষ বক্তব্য রাখছেন, সেটাও জটিলতা তৈরি করছে। সবাই একমত হলে নির্বাচনের দিন বা আগে-পরেও গণভোট হতে পারে।

অনেকে আওয়ামী লীগকে প্রশ্রয় দিচ্ছে মন্তব্য করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিরোধ থাকলেও আওয়ামী লীগ প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, অনেকে আওয়ামী লীগকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তারা বিভিন্ন দলে প্রবেশ করে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে পারে। স্থিতিশীলতার স্বার্থে ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের দিন বা তার আগে হলেও আমাদের আপত্তি নেই। তবে সব প্রশ্নকে ছাপিয়ে গণভোট আগে-পরে করা নিয়ে বাড়াবাড়ি সমর্থনযোগ্য নয়।

নাহিদ অভিযোগ করেন, বিএনপি গণভোটের বিপক্ষে জনমত তৈরি করতে চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিনা দেখতে হবে। দেশের সামগ্রিক পরিবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো শুধু ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি করছে। গণভোটে জনগণ ‘হ্যাঁ’ বললে ‘হ্যাঁ’, আর ‘না’ বললে ‘না’। এটি তাদের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। তারা না বললে না হবে। বিএনপির বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াকে মানুষ ভালোভাবে নেয় না।

নির্বাচনে এনসিপির প্রস্তুতি নিয়ে নাহিদ জানান, এখন পর্যন্ত এককভাবে প্রার্থী বাছাই চলমান। বিভিন্ন শাখা কমিটি হচ্ছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। শাপলা প্রতীক প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচন থেকে আমাদের দূরে রাখতেই কমিশন চেষ্টা করছে। যেটা করেছে, সেটা এক মাস আগে করতে পারতো। নতুন দল হিসেবে আমাদের প্রতি আরও আন্তরিক হতে পারতো।

তিনি আরও বলেন, ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান প্রশ্নে যতদিন ভারত তার অবস্থান পরিবর্তন না করবে, ততদিন বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক শীতলই থাকবে।

নাহিদ বলেন, সংস্কারের পক্ষে যদি কেউ না থাকে, তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। কোনো একটি দলের চাপে সরকার বারবার টেক্সট পরিবর্তন করেছে। বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়ায় যেভাবে ২৭০ দিন পর সংস্কার প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হওয়ার বিধান ছিল, আমরা সেটিকে সমর্থন করি। এর ব্যত্যয় হলে আদেশ সমর্থন করা হবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তার দাবি, ২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে কোনো ভয় থাকার কিছু নেই, অযথা বিতর্ক ও ভীতি ছড়ানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, গণভোট নির্বাচনের দিনেও হতে পারে, নির্বাচনের আগেও হতে পারে। তবে এটিই মূল বিষয় নয়। এটি আগে করলেও ভালো, কিন্তু সমস্যা থাকলে নির্বাচনের দিনও করা যেতে পারে।

আসন্ন নির্বাচনে এনসিপি ৩০০ আসন থেকে ভোটে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৩০০ আসন ধরেই আগাচ্ছি। আমরা হয়তো এই মাসেই আমাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করলেই কে কোথায় থেকে দাঁড়াচ্ছে দেখতে পাবেন। আমাদের অনেকে কাজ করছে যার যার এলাকায়।

ঢাকা থেকে তিনি নির্বাচন করবেন জানিয়ে বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই এনসিপির পূর্ণ প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করা হতে পারে।

 

সর্বশেষ - রাজনীতি