গাজীপুর প্রতিনিধি :
দল ও ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন জামায়াতে ইসলামী মানবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার সকালে গাজীপুরে ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা দল ও ধর্মের ভিত্তিতে কোন বিভাজন মানবো না। রাজনীতিতে কোন ব্রাহ্মণ নীতি চলবেনা। দেশের স্বার্থে আমাদের কোন বিভাজন নেই। যত বিভাজন, তা আমরা পায়ের নিচে ফেলে দিয়েছি। আর কাউকে জাতিকে ভাগ করার সুযোগ দিব না। জাতিকে তারাই ভাগ করে যারা দেশের দুশমন। দলের ভিত্তিতে, ধর্মের ভিত্তিতে আর ভাগ করার সুযোগ দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে আমরা আপোষহীন।’
জাতির সাথে সেবক হয়ে ‘গাদ্দারি করলে’ কি পরিণতি হয় তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিন বলেন, ‘জাতির সঙ্গে গাদ্দারি করলে, তাদের সেবক হয়ে মালিক বনে গেলে কি পরিণতি হয় তা থেকে আমি, আমরা এবং জাতিকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, আর কোন স্বৈরাচার সরকার আসবেনা যারা ক্ষমতায় থাকাবস্থায় জনগণকে তাদের কেনা টাকায় বুলেট ছোড়ার দুঃসাহস করবে। এমন কোন নতুন সন্ত্রাসী সরকার দেখতে চাইনা।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘কোন দুর্বৃত্তকে আদালতের চেয়ারে আর দেখতে চাই না। যারা বিচারের আমানত রক্ষা করতে পারবে তাদের বিচারক হিসেবে চাই। যারা মুখের দিকে তাকিয়ে কোন বিচার করবে না। নীতি, নৈতিকতা ও সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে রায় দিবেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকতে হবে, সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার হতে হবে সঠিক।’
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বীকৃতি দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দলীয় ভিত্তিতে শহিদদের বিভক্তি চাইনা। তারা আমাদের মর্যাদার পাত্র। পাঠ্যপুস্তক কারিকুলামে আগামী দিনের নাগরিকরা যেন জানে তাদের মুগ্ধ,সাঈদ, রিয়ারা ছিল।’
এসময় তিনি প্রত্যেক শহিদ পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এর আগে জামায়াত আমির শহিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মুহা. জামাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর খায়রুল হাসান, সহকারী সেক্রেটারি হোসেন আলী , মজলিসের শূরা সদস্য আফজাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক সালাউদ্দিন আইয়ুবী প্রমুখ।