কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, এ সরকারের আমলে গুম-খুনের যে অভিযোগগুলো তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক এবং অসত্য। এর কোনো ভিত্তি নেই। এই বাংলাদেশে গুম-খুনের রাজনীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের রাজনীতি শুরু হয়েছিল বিএনপির হাত ধরে।
আজ ১১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে কুষ্টিয়ার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।
এ সময় মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ওই সময়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে গুমের রাজনীতি শুরু করেছিল। আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাসহ প্রায় ১২০০ সামরিক বাহিনীর সদস্যকে তিনি বিনা বিচারে ফাসিঁ দিয়ে হত্যা করেছিলেন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৫ই আগস্ট জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল– এটা ছিল পৃথিবীর মধ্যে নিষ্ঠুর, ভয়াবহতম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। সেই ঘটনার সঙ্গে এই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল সেসময় রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। এই বাংলাদেশে যতগুলো হত্যা, গুম এবং খুনের রাজনীতি করেছে সবই বিএনপি করেছে।’
জোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে হানিফ আরও বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের শরীক দলের সাথে আওয়ামী লীগের বৈঠক হয়েছে, সেই বৈঠকে তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেই বৈঠকে জোটের শরীক দলের নেতারা কেউ অসন্তুষ্টি ব্যক্ত করেনি। আওয়ামী লীগ আশা করছে আসন ভাগাভাগি নিয়ে যে বিষয়টি রয়েছে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সেটা খুব দ্রুতই নিষ্পত্তি হবে। তবে ১৪ দলীয় জোট যে কয়টি আসন পাবে তারা নৌকা প্রতীক নিয়েই ভোট করবে। আসন বণ্টনের বাইরেও যদি ১৪ দলীয় জোটের নেতারা ভোট করতে চান তাদের দলীয় প্রতীক নিয়ে সেটাও তারা সুযোগ পাবে।’