নিজস্ব প্রতিবেদক :
গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে একটি প্রহসনের নাটক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (জেটেব) উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
মঈন খান বলেন, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে একটি প্রহসনের নাটক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের কোটি কোটি মানুষ সেই নির্বাচনকে বর্জন করেছে। আর এখানে কোনো নির্বাচন হয় নাই। এখানে ইলেকশনের নামে সিলেকশন হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু বিএনপি ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষই নয়, আওয়ামী লীগের যারা ভোটার ছিলেন, তারাও এই নির্বাচনে যায় নাই। কারণ তারা জানেন, এই নির্বাচনে কে নির্বাচিত হবেন এবং কে হবেন না। এটা ভোট দিয়ে নির্ধারিত হয়নি, হয়েছে রাজধানী থেকে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা রাজপথে দাঁড়িয়ে আছি, দাঁড়িয়ে থাকব। যতক্ষণ না পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৮ কোটির মানুষের জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনব, ততক্ষণ ঠিক এভাবেই আমরা রাজপথে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকব।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করি। আমরা বাংলাদেশে রাজনীতি করব নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পথে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, বাকশালে বিশ্বাস করে না। বিএনপির শান্তির রাজনীতি করে, বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না।
তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, যারা আমরা নির্বাচনকে বর্জন করেছি। আমরা সবাই মিলে যে শপথ নিয়েছি, সেটা হচ্ছে- বাংলাদেশে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবন-যাত্রার মান আমরা উন্নত করব। আমরা এই আদর্শে রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগের মতো ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
সাবেক মন্ত্রী মঈন খান আরও বলেন, সরকার বলছে, বাংলাদেশ নাকি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দ্রুত উন্নয়নকামী দেশ। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যদি বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দ্রুত উন্নয়নকামী দেশ হয়ে থাকে, তাহলে কেন সেদেশে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে দরিদ্র মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে হচ্ছে? কোথায় সেই উন্নয়ন? কার জন্য সেই উন্নয়ন?
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেটেবের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. ফখরুল আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।