নিজস্ব প্রতিবেদক :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতারা ব্যার্থতার জন্য বর্জনের মধ্যে দিয়ে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়। তাদের নেতাদের কারো সাথে কারো কথার মিল নেই, তাই বিএনপির কোন নেতা কি বলে তা সরকার গুরুত্ব দিচ্ছেনা সরকার।
রোববার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে বিআরটি প্রকল্পের সাত ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করতে গিয়ে এসব কথা জানান তিনি।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো চিন্তা আছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার এ ধরনের চিন্তাভাবনা কেন করবে? এর কোনো যুক্তি নেই, বাস্তবতা নেই। নির্বাচন যখন হওয়ার তখন হবে সংবিধান অনুসারে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলতে কিছু নেই।
এসময় বিএনপি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কাদের বলেন, ব্যর্থতার জন্য বিএনপি নেতারা নিজেরাই এখন ক্লান্ত। তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারো সঙ্গে কারো কথার মিল দেখি না। মঈন খান বললেন, গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য। আবার রিজভী তার চাদর ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ভারত বিরোধিতা করছে। তারা আসলে বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়।
তিনি বলেন, আমীর খসরু বলেন একটা, রিজভী বলেন আরেকটা, আবার মঈন খান বলেন ভিন্ন কথা।
বিএনপি নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা ব্যার্থতার জন্য বর্জনের মধ্যে দিয়ে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়। কারো সাথে কারো কথার মিল নেই, তাই বিএনপির কোন নেতা কি বলে তা সরকার গুরুত্ব দিচ্ছেনা সরকার। দলটির মহাসচিব কি বলে সেটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা।
যানজট নিরসনে সিগন্যাল সিস্টেম চালু করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে সিগন্যাল সিস্টেমটা জরুরি। প্রধানমন্ত্রীও এটি বলেছেন। সিগন্যাল সিস্টেমটা চালু হলে যানজট নিরসনে এটির ভূমিকা থাকবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতি এত নির্মম যে জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু করার কথাও আসে। সমালোচনা করার জন্য সামলোচনা করতেই হবে। একটা মেগা প্রজেক্টের কাজ কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। সেটি সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নানান সমস্যার জন্য হয়েছে। বিআরটি প্রকল্পের জন্য সেরকম দুর্ভোগ হবে না। তবে এবার ময়মনসিংহে যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। গতবারও আমরা একটি রাস্তা চালু করে দিয়েছিলাম। সেজন্য কিছুটা স্বস্তি হয়েছিল। এবার সাতটি ফ্লাইওভার চালু করে দিচ্ছি, তাতে চলাচল আরও সহজ হবে।
ঈদযাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঈদযাত্রার বিষয়ে আমরা সভা করেছি। ট্রাক-ভারী পরিবহন বন্ধ রাখা আগে ও পরে, সেটির সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার যেটি কাজ, সেটি তারা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাতে যানজট দূর করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। গাজীপুর কিছুটা সমস্যার কারণ ছিল। কিন্তু সেটির এবার আরও সমাধান হয়ে গেলো। এবার ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হবে। সবাইকে যার যার কাজ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। সবাই নিজ নিজ কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন প্রত্যাশা করছি।
এসময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।