নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রোববার (১৫ জুন) এক বাণীতে বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের অন্যতম মৌলিক উপাদান। গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব দিতে হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী সব দল বাতিল করে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করে, যার ফলে দেশের চারটি সংবাদপত্র ছাড়া সব বন্ধ হয়ে যায় এবং বহু সংবাদকর্মী বেকার হয়ে পড়েন। এই ঘটনা জাতিকে নির্বাক করে দিয়েছিল।
তারেক রহমান বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল ভৌগোলিক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। গণতন্ত্রে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে, যা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মাধ্যমে সম্ভব। স্বাধীন সংবাদমাধ্যম থাকলে রাষ্ট্র ও সমাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।
তিনি উল্লেখ করেন, শেখ মুজিবুর রহমানের পরে শেখ হাসিনা সরকারও একদলীয় ব্যবস্থার পথে চলে, নানা কঠোর আইন প্রণয়ন করে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর জুলুম চালিয়েছে। বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ হয়েছে।
তবে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর গণমাধ্যম কিছুটা স্বাধীনতা ফিরে পেলেও এখনো সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান।