সোমবার , ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

বনের জমিতে রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালামের জমিদারি : দিনদিন সরকারী বনায়ন নিশ্চিহ্ন

প্রতিবেদক
Newsdesk
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫ ৪:১১ অপরাহ্ণ

বিশেষ সংবাদদাতা :

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন শিলখালী রেঞ্জ কর্মকর্তাকে টাকা দিলেই বনাঞ্চলে সবই জায়েজ হয়ে যায়। ঘুষের বেধে দেওয়া টাকা দিলেই পাকা দালান করতে রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালামের কার্যালয় থেকে কোন রকমের বাধা আসে না। রেঞ্জে বেশিরভাগ সংরক্ষিত বনভূমির জমি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্থাপনা করার সুযোগ মিলছে। টাকায় কেনা সেই জমিতে দালান করতে বন বিভাগের শিলখালী কর্মকর্তা আবুল কালামকে ম্যানেজ করলেই হয়। এ কারণে দিন দিন বন বিভাগের জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এ সুযোগে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বনের গাছ কেটে জমি দখলে নিয়ে গড়ে তুলছে ঘর-বাড়ি। এটি বন বিভাগের সংরক্ষিত বনভূমি বলে ধারণা করাটাও ভুল হবে বলে জানান স্থানীয় অনেকে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে টাকার বিনিময়ে জমিগুলো নিয়ে সেখানে নির্মাণ করছেন বড়বড় দালান ও আধাঁপাকা ঘরবাড়ি। এতে করে বনায়নের নাম করে দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে শ’ শ’ একর বনভূমি ।

স্থানীয়দের অভিযোগ মতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, সুফল বনায়নে হরিলুট করে সরকারের বিপুল টাকা পকেটভারি করেছে আবুল কালাম। এছাড়াও বনভুমি বিক্রি ও পাহাড় কেটে পাকা দালান নির্মাণে সহযোগীতা করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়েছেন খোদ রেঞ্জ কর্মকর্তা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি বৃক্ষ নিধন হচ্ছে শিলখালী রেঞ্জের জাহাজপুরা, মাথাভাঙা, কচ্ছপিয়া, মারিছবনিয়া,হাজমপাড়া, কচ্ছপিয়া, নোয়াখালী পাড়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে। রেঞ্জের আওতাধীন এলাকাগুলোতে নির্বিচারে পাহাড় কাটা, বনভুমি বিক্রি ও মূল্যবান গাছ কেটে পাচারের ঘটনা রীতিমতো পরিবেশবাদী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাবিয়ে তুলেছে।এদিকে, রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালামের যোগসাজশে দিন-রাত গাছ কাটা এবং কাঠ পাচার অব্যাহত থাকলেও রহস্যজনক নিরবতা পালন করছে উর্ধতন কর্মকর্তারা। রীতিমত বন কর্মকর্তার নিরব ভুমিকার কারণে কাঠ চোরেরা আস্কারা পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে গাছ নিধনে মেতে উঠেছে। শিলখালী রেঞ্জে সংরক্ষিত বনাঞ্চল রয়েছে। এই রেঞ্জে শতবর্ষীয় মাদার ট্রি গর্জন, সেগুন, করই, গামারী, জারুল, জাম, মেহগনী, তেলসুর ও সিভিটসহ বিভিন্ন প্রজাতির মুল্যবান গাছ দৈনন্দিন নি:শেষ হয়ে পড়ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় কাঠ চোরাকারবারিরা দিনে-রাতে প্রতিযোগিতামুলক ভাবে মুল্যবান গাছ নিধন চালালেও রেঞ্জ কর্মকর্তা রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ রয়েছেন বলে জানান সচেতন মহল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শিলখালী রেঞ্জের বনাঞ্চল থেকে নির্বিচারে নিধন করা মুল্যবান গাছগুলো ডাম্পার (মিনি ট্রাক) যোগে সরবরাহ করে যাচ্ছে সিন্ডিকেট সদস্যরা। এতে করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মূল্যবান বৃক্ষ দিনদিন শুন্য হয়ে ন্যাড়া ভুমিতে পরিণত হচ্ছে। চোরাই কাঠ সরবরাহকারীচক্র বনের মূল্যবান গাছ কেটে অন্যত্র সরবরাহ করে দিচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করলেও কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের শিলখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম এ ব্যাপারে কোন ধরণের ভুমিকা বা পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বনের গাছ চুরি অব্যাহত থাকায় সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে ‘সাসটেইনেবল ফরেস্ট অ্যান্ড লাইভলিহুড (সুফল) প্রজেক্টথ এর আওতায় সরকারের গৃহিত নতুন বনায়ন কর্মসুচী এই শিলখালী রেঞ্জে ভেস্তে যেতে বসেছে। খোদ শিলখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালামের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে সুফল প্রকল্পের অধীনে টেকসই বনায়ন বিকল্প জীবিকায়ন প্রকল্পের সৃজিত বনায়ন বিফলে চলে গেছে। সুফল বনায়নে আগাছা পরিস্কারের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। অযত্ন-অবহেলায় সুফল বনায়নের বেশির ভাগ বিভিন্ন প্রজাতির স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী চারা গাছ মারা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বনাঞ্চলের মুল্যবান গাছ কেটে পাচার সহজতর এবং দ্রুত অন্যত্র সরবরাহের জন্য সংরক্ষিত বনের ভেতর গাছ ও পাহাড় কাটছে কাঠ চোর ও বনভূমি দখলদাররা। শিলখালী, জাহাজপুরা, মাথাভাঙা, কচ্ছপিয়া, হাজমপাড়া ্নোয়াখালীপাড়া কাঠ চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সঙ্গে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে কাঠ ও পাহাড়ি পাথর সরবরাহ করে পকেট ভারি করছে রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম। নির্বিঘ্নে ডাম্পার যোগে দিনে ও রাতে কাঠ সরবরাহ করা হচ্ছে বনের মূল্যবান কাঠ। অবৈধ দখলদারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে দালান নির্মাণে সহযোগীতাও করেছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা। ওই এলাকায় এধরনে প্রতিটি অবৈধ কাঁচা পাকা দালান থেকে তিনি লাখ লাখ টাকা অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বনজায়গীরদার (ভিলেজার) জানান, চকিদারপাড়া, শিলখালী, জাহাজপরা, হাজমপাড়া, মাথাভাঙা, মারিছবনিয়া, কচ্ছপিয়া, নোয়াখালীপাড়া সহ বিভিন্ন পয়েন্টে দিনে ও রাতে সেগুন, গর্জন ও সিভিট গাছ কাটা যাচ্ছে। আরও অভিযোগ, নিধন হওয়া চোরাই কাঠ ভর্তি গাড়িগুলো শিলখালী রেঞ্জ অফিসের সামনের সড়ক দিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি মুল্যবান গাছ ছাড়াও বনাঞ্চল থেকে লাকড়ি যাচ্ছে টেকনাফ এলাকার বিভিন্ন ইট ভাটায়। তারা আরও জানান, শিলখালী রেঞ্জে প্রতিনিয়ত গাছ নিধন করেছে কাঠ চোরদল। তাদের দাবী সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন বন কর্মকর্তারা এসব এলাকা পরিদর্শন করলে শতশত সদ্যকাটা গাছের মুথা পাওয়া যাবে। রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম মাঝে মধ্যে টহলে গিয়ে গাছ নিধন দৃশ্য দেখেও এড়িয়ে যান। কারণ হিসেবে তারা বলেন, প্রতিটি নিধন হওয়া গাছের টাকা পান রেঞ্জ কর্মকর্তা। অথচ উক্ত বনাঞ্চলে এসব গাছ বড় করতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। গাছ বড় করতে লেগেছে দীর্ঘ সময়। অথচ বনের রক্ষক রেঞ্জ কর্মকর্তা কাঠ চোরদের সঙ্গে আঁতাত করে এসব গাছ অতিঅল্প সময়ে মোটা টাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে। কাঠ চোরকারবারিদের সঙ্গে তার রয়েছে দহরম মহরম সম্পর্ক। ফলে রেঞ্জ কর্মকর্তরা যোগসাজসে নিয়ে যাচ্ছে বনের মূল্যবান কাঠ।

এবিষয়ে শিলখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন।

সর্বশেষ - রাজনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত

দেশের জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে বৈধ বলে মেনে নিয়েছে: হাইকোর্ট

কোকোর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হবে: ডা. জাহিদ

নিউজিল্যান্ডে প্রথম দিনের অনুশীলনে ফুরফুরে মেজাজে বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডে প্রথম দিনের অনুশীলনে ফুরফুরে মেজাজে বাংলাদেশ

ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না: সড়ক পরিবহনমন্ত্রী

ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়ন জরুরি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

পটুয়াখালী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী মহিউদ্দিন

করের আওতায় আসছেন চিকিৎসক-গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা

নির্যাতনের জবাব হিংসায় নয়, ৩১ দফার মাধ্যমে দিতে চাই: তারেক রহমান

কোম্পানীগঞ্জে স্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে স্বামীর মৃত্যু

আগামী ১ জানুয়ারি বয়স ১৮ হলে ভোটার হওয়ার আহ্বান ইসির