নিজস্ব প্রতিবেদক :
শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারীতে আবারও আলোচনায় চিরচেনা সেই মিজান। আবারও পাঁয়তারা হাজারো গ্রাহকের পকেট কাটার। ইতোমধ্যে সঙ্গী হিসেবে নিয়েছেন তার ভাই মাহামুদ । আছে আরও চাঁই চামুণ্ডা। এ ব্যাপারে এখনই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আশু পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন কয়েক শ বিনিয়োগকারী।
গ্যাম্বলার মিজানের নাম জানে না এমন কোন লোক শেয়ার বাজারে নেই বললেই চলে। গ্যাম্বলার মিজানের সাথে সহযোগী হিসেবে নাম এসেছে মিজানের ভাই মাহমুদ এর ইতোমধ্যে শত শত কোটি টাকা শেয়ার বাজার থেকে লোপাট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন হাজারো বিনিয়োগকারী। ঘটনাটি জানার পর মিজানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে অপরাধচিত্র’র প্রতিনিধি। আমাদের রূপগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা যোগাযোগ করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে। তারা বক্তব্য দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই চক্র যে সব শেয়ার নিয়ে সর্বশান্ত করেছে বিনিয়োকারীদের সেই শেয়ারগুলোর অন্যতম প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স, মুন্নু সিরামিক, গ্লোবাল ইন্সুইরেন্স, জিবি পাওয়ার, কন্টিনেন্টাল ইন্সুইরেন্স, ন্যাশনাল ফিডসহ আরও কয়েকটি। অনেক শেয়ার কম দামে কিনে উচ্চ মুল্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ধরিয়ে দিয়ে টাকা নিয়ে সর্বশান্ত করেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।
উল্লেখ্য, গ্যম্বলার মিজান ১৯৯৫ সালে উত্তরবঙ্গের সার কেলেংকারির সাথে জড়িত ছিলেন। এমনকি আলোচিত ১৮ জন কৃষক হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। ওই মামলার খবর নিয়ে জানা যায়, তাকে এখনও পুলিশ খুঁজছে। তাকে বিভিন্নভাবে পলাতক আসামি হিসেবে গণ্য করে। তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি রেমন্ড সিকুউরিটিজ লিমিটেড, সিটি ব্রোকারেজ, উত্তরা ব্যাংক, এন আর বি সি সিকুউরিটিজ লিমিটেড, এন এল আই সিকুউরিটিজ লিমিটেডের ট্রেড করে মানুষকে উচ্চ দামে শেয়ার গছিয়ে দিয়ে কেটে পড়েন। সিকুউরিটি এক্সচেঞ্জের কমিশন তিনি তাঁর ভাইয়ের নামে কোটি টাকার জরিমানা করেছে- যা এখনো আদায় হয়নি। পুনতুন করে মিজানের নাম আলোচনায় আসায় বিনিয়োগকারীদের মাঝে আবারও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।


















