নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা। তাদের মতে, এই অচলাবস্থা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত।
শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, এনবিআরের কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি হওয়ায় প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের অবস্থা এখন ‘পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।’ দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ) লিখিত বক্তব্যে বলেন, এনবিআরের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দপ্তরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সীমিত কার্যক্রম চলার ফলে সময়মতো কাঁচামাল খালাস করা যাচ্ছে না। এতে রপ্তানিতে লিড টাইম বেড়ে যাচ্ছে, পণ্যের গুণগত মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং বায়ারদের কাছ থেকে আদেশ বাতিলের হুমকি আসছে।
তিনি আরও বলেন, এই জটিলতায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১০-১৫ দিনেও প্রয়োজনীয় ইউপি (আপডেটেড প্রমাণপত্র) মিলছে না। ফলে পোর্টে আটকে থাকা পণ্য বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে এবং ড্যামারেজ খরচ চারগুণ বেড়ে গেছে, যা ব্যবসার ব্যয় বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তবে ব্যবসায়ী নেতারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তারা এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ চান না। বরং তারা একটি দক্ষ, আধুনিক ও হয়রানিমুক্ত এনবিআর গঠনের লক্ষ্যে কাঠামোগত সংস্কারের পক্ষে জোরালো অবস্থান জানান।
নেতারা বলেন, সংকট নিরসনে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত আলোচনায় বসা জরুরি। এ সময় তারা এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলমবিরতি ও শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, এলএফএমইএবি সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, এফবিসিসিআইয়ে সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, বিসিএমইএ সভাপতি মঈনুল ইসলাম, বিএফএলএলএফইএ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, বিপিজিএমইএ সভাপতি শামীম আহমেদ এবং এমসিসিআই সহসভাপতি সিমিন রহমান।