নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। বাজার এখনও জমে ওঠেনি, কারণ ক্রেতা কম। এজন্য শাক-সবজি, মুরগিসহ বেশির ভাগ নিত্যপণ্যও বিক্রি হচ্ছে কম দামেই।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কাপ্তান বাজার, শ্যাওড়াপাড়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কিছু বিক্রেতা পণ্য সাজিয়ে বসে আছেন, তবে ক্রেতা কম। এতে অনেকটাই কম দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ নিত্যপণ্য।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পণ্য আসছে, ক্রেতা কম আছে। দু-এক দিনের মধ্যে আবার বাজার জমে উঠবে।
খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৩০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা লতি ৪০ ও পটোল ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজি প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে টমেটো। আর প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের বাজারে কিছুটা চড়াভাব দেখা যায়। চাষের রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশ কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি চাষের রুই ও কাতলা ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৪০ টাকা ও পাঙাশ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি চাষের চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং নদীর চিংড়ি ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়, যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি।
মাসখানেক ধরে পেঁয়াজের বাজারও চড়া। খুচরা পর্যায়ে ভালো মানের প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।
এদিকে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা বেড়ে সোনালি মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৬০-২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।
প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। ভ্যানে করে কিছুটা ছোট আকারের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজও। বাজারভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি আদা মানভেদে ১২০-১৮০ টাকা এবং দেশি রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।